ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস হুমকির মুখে। একে মোকাবেলা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে একটি বৈশ্বিক নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে যুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। যদিও অন্যান্য পরাশক্তির নেতৃবৃন্দও একই কথা বলছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচিত নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় করে সঙ্কট মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
সম্প্রতি সংকট মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় শীর্ষ নেতৃত্ববৃন্দের এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় নিজ নিজ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও করনীয় বিষয়ে আলোচনার প্রশংসা করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ইউএনএসসি এ মহামারী মোকাবেলায় বৈশ্বিক সম্পদের সর্বেোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এ মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বরং এ মারাত্মক ভাইরাস মোকাবেলায় সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আবশ্যক।
বিশ্ব কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সীমানা সিল, বিমান চলাচল স্থগিত এবং বিভিন্ন শহর লকডাউন করে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন, ‘আমি মনে করি জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের এ মহামারী মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণে এগিয়ে আসা উচিত। তারা জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত সকল দেশকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন, জাতিসংঘ এবং এর বিশেষায়িত সংস্থার বিশাল নেটওয়ার্ককে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তবে বিশ্বব্যাপী এ সংকট মোকাবেলা আরও সহজ হবে।
এদিকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (সার্ক) বিশ্বের সকল দেশ এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তবে এই সঙ্কট পৃথকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না।
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই প্রবীণ শিক্ষক বিশ্ববাসীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে মানচিত্রের মধ্যে বিভক্ত করলেও পৃথিবী অখণ্ড। বিশ্ব নাগরিকদের আমাদের এ গ্রহের কল্যাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা করার কথা ভাবা উচিত। ইতিমধ্যে সার্ক দেশগুলো এ সংকট নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগামীতে কেবল এ মহামারী নয়, যে কোনো সম্ভব্য সংকট মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবে।