রকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে, এই আইনে গ্রেফতার সব মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও তাঁর খেতাব বাতিলের চক্রান্ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়, জনগণের সরকার নয়৷ তারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে একটি ভয়াবহ আইন তৈরি করা হয়েছে৷ এই আইন দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, লেখার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
এই সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন তৈরি করেছে বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে৷ সাত শর ওপর মানুষ, যারা রাজনীতি করেন না, তাঁদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকে রাখা হয়েছে৷ কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে৷ মুশতাক আহমেদ কারাগারে নিহত হয়েছেন৷ আমি শাবাশ ও ধন্যবাদ দিতে চাই কার্টুনিস্ট কিশোরকে যে আজ তিনি নিজের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷’
মিথ্যা মামলায় আটক থাকা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা এত ভয় পান কেন, অনুমতি দেওয়ার পরও কেন চতুর্দিকে বন্ধ করে দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আসতে দেন না? কারণ, আপনারা জানেন, জনগণ জেগে উঠলে আপনাদের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন৷
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক’শ নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন৷