বাংলাদেশের ফুটবলে লেগেছে জোর ধাক্কা। ফান্ডের অপ-ব্যবহার ও অনিয়মের দায়ে ফিফা সম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে। চরম বিব্রতকর এই ঘটনায় সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের দিকে আঙুল তুলছে মানুষ। ২০০৮ সাল থেকে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ চেয়ারে বসা সাবেক এই তারকা সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের নিষেধাজ্ঞার পর সবাই আপনার দিকে আঙুল তুলছে। কেন আদর্শ সিষ্টেম ছিল না?
আপনাদের কর্মকর্তাকে ফিফা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে এমন কোন আভাস পেয়েছিলেন?
সালাউদ্দিন: তারা যখন জুরিখে গেল, আমি একশো ভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে তারা সাজা পেতে যাচ্ছে।
আপনি কি একমত যে বাফুফের অডিট ত্রুটিপূর্ণ ছিল?
সালাউদ্দিন: আমি শুনেছি ফিফা একাউন্টে ত্রুটি আছে বলেনি, বলেছে সিষ্টেম ত্রুটিপূর্ণ। তারা আমাকে দশ টাকা দিলে সেটা একাউন্টে আছে। কিন্তু তারা সিষ্টেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি একমত যে সিষ্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে।
সামনে এগুনোর জন্য এটা কত বড় ধাক্কা?
সালাউদ্দিন: এটা অবশ্য বড় ধাক্কা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি কোনো চুরি হয়নি। আমি তো বাফুফেতে কোন টাকাই দেখি না। তাহলে কীভাবে চুরি হবে? আপনি কোনো ডকুমেন্ট পাবেন না যে আমি বাফুফের টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়েছি। আমি যখন জুরিখে গেলাম নিজের পকেট থেকে হোটেল ভাড়া দিয়েছি। আমি একমাত্র সভাপতি যে কিনা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে খেলাটা চালিয়েছে।
ফিফার ফান্ড অপব্যবহার ও অনিয়মের জন্য তাহলে কাকে দোষা উচিত?
সালাউদ্দিন: আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। আমি আমার নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি কারণ আমার কোন সুবিধা বা অসুবিধা নেই এখানে বসার। বাফুফের সবাই সবকিছু শতভাগ জানে।
বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ কি?
সালাউদ্দিন: আমি সত্যিই জানি না। আমার এই দায়িত্বে থাকার রায় আছে ২০২৪ পর্যন্ত। আমার মনে হয় ফিফা থেকে ফান্ড পেতে কোন সমস্যা হবে না। তারা বাফুফের একাউন্ট নিয়ে খুশি আছে কারণ তারা ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত খতিয়ে দেখেছে। কিন্তু এটা সত্যি কথা আমরা হয়ত ফুটবল ইভেন্টের স্পন্সর পেতে সমস্যায় পড়ব।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমি মানুষদের জন্য আপনার বার্তা কি?
সালাউদ্দিন: আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রধান হিসেবে সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিচ্ছি।
সূত্র: দি ডেউলি স্টার