রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়ে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে জিডিপিতে রাজস্বের অবদান বাড়বে। তবে সরকারি প্রকল্পের ব্যয়ে যে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়, তা হিসাবভুক্ত হলে রাজস্বের পরিমাণ আরও বেশি দেখা যাবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী এসব ছাড়ের আলাদা হিসাব রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এটি আরও ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যায়। তবে আমদানিকৃত পণ্য সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বেশি মেশিন (স্ক্যানার) বসানো হবে বলে জানান। একই সঙ্গে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা চালু করার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ২ লাখ টাকার ওপরে শুল্ককর ইপেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করার তথ্য জানিয়ে বলেন, এ লক্ষ্যে সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেছে। আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে কমলাপুর আইসিডি কাস্টম হাউজে এটি শুরু হচ্ছে। দেশব্যাপী শুরু হবে জুলাই থেকে। এছাড়া স্ক্যানার কেনার কাজ চলছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে পণ্য খালাসে গতি বাড়বে।
অনুষ্ঠানে রাজস্ব আদায়ে বিশেষ অবদান রাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠান ও করোনায় মারা যাওয়া এনবিআর কর্মকর্তাদের ডব্লিওসিও মেরিট অব মেরিট প্রদান করা হয়।