মোশাররফ হোসেন: আজ ঐতিহাসিক ৭মার্চ ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা র সুবর্ণ জয়ন্তীতে এবারের এ দিনটি গুরুত্বপূর্ণ । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের জনসভায়১৯৭১সালের ৭মার্চ যে বক্তৃতা করেন তা ঐতিহাসিক ।
১৭মিনিটের এই বক্তব্য এখন জাতিসংঘ সীকৃত অন্যতম সেরা ।ইউনেস্কো এ বক্তৃতাকে বিশেষ মর্যাদা দিযেছে ।এজন্য বাংলাদেশ গর্বিত । এটা এখন গবেষণার বিষয় ।লিখিত কোন বক্তব্য ছিলনা।তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কী বলবেন, তার রূপরেখা নিজে ঠিক করে নেন।
১৯৭১সালের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে জাগ্রত করে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনামূলক এ বক্তৃতা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে । এটা অত্যন্ত কৌশলী বক্তৃতা ছিল ।
১৯৭০সালে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ৩০০আসনের ২৯৮টিতে জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার পর যখন পাকিস্তানের প্রেসিডেনট জেনারেল ইয়াহিয়া খান তা ১মার্চ স্থগিত ঘোষণা করে আলোচনার নামে কুটকৌশল অবলম্বন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বিলম্ব করছিলেন ।
ঠিক তখনই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বৈঠক করে নিজেদের করনীয ঠিক করে নেন বংগবনধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আগে ২৩বছরের অবহেলার জন্য ৬দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে।
শেষ পর্যন্ত একদফার আনদোলন করতে হয়েছিল । সাযততো শাসন থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হয় । নিপীড়ন ও অবহেলার পর বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে মানুষ হত্যা করে একাত্তর সালে ।
আর এসব কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭মার্চ বলেন , আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু। তারপরও ইয়াহিয়া শুনলেন ভুট্টোর কথা। আমার লোকদের হত্যা করা হযেছে। তোমরা আমাদের ভাই তোমারা বেরাকে থাক। কেউ তোমাদের কিছু বলবেনা। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল । আমি যদি হুকুম দিবার না পারি তোমারা সব বন্ধ করে দেবে। আর যদি একটা গুলি চলে, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব ।এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাললাহ। ৭কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবানা। আমাদের এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,,, জয় বাংলা ।