বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ধরনটি বিশ্বের ৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে। যেখানে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখানে রোগীর সংখ্যা দেড় থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
হালনাগাদ তথ্য দিয়ে ডব্লিএইচও জানায়, ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে জনসংখ্যার ইমিউনিটি উচ্চ স্তরের দেশগুলোতে। তবে এটি কী কারণে ঘটছে তা পরিষ্কার নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর ওমিক্রন ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিএইচও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের কারণে শরীরে কতোটা প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনের সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে এখনও তথ্যের পরিমাণ সীমিত। তীব্রতার মাত্রা এবং এটি টিকা ও আগে থেকে বিদ্যমান ইমিউনিটি দ্বারা কতোটা প্রভাবিত হয় তা বুঝতে আরও তথ্য দরকার।
বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ৩৬ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৮ জন।
আরও পড়ুন: দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়ার তারিখ ঘোষণা
এর আগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্বে মারা গিয়েছিল আরও ৬ হাজার ৫৪৯ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছিল৭ লাখ ১১ হাজার ২৫৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৭ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬ জন।
এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৭ জনে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও ১২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৭২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ১৩ হাজার ৯৭১ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৩ জন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জন মারা যান। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ১৯১ জনের দেহে।