করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ওয়াজ-মাহফিল ও কীর্তনসহ অধিক জনসমাগম হয় এমন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাবেশও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং নিজ নিজ দপ্তর থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক সচিব তাদের মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সরকারের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলেন এবং দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং ধর্মীয় বা অন্য যেকোনো ধরনের জমায়েত বন্ধ করার জন্য ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বলেন, করোনা সংক্রান্ত সরকারের সব নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাবেশও বন্ধ রাখা হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশে করোনা বিষয়ক পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। গুজব প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোয়ারেনটাইনে থাকা ব্যক্তিদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয় ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের। এজন্য আইনশৃগ্ধখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জেলা উপজেলার সকল কর্মকর্তাকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে বলা হয়।
করোনা প্রতিরোধে এর আগে চলতি মাসের ১ তারিখে ডিসি ও ইউএনওদের নেতৃত্বে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সরকার। একই দিনে জাতীয় পর্যায়েও কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া গত বুধবার বিভাগীয় কমিশনারদের নেতৃত্বে ভাগীয় কমিটি করে সরকার।