গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বয়স্করাই বেশি মারা গেলেও তরুণরা এই ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নন বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের দাবি, অল্প বয়সী কিশোর-তরুণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নয়। এ কারণে তাদেরকে বয়স্ক ও সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিকতা ও যোগাযোগ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াস বলেছেন, তরুণদের বেছে নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘অন্য কারও জন্য জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য’ তৈরি করতে পারে।
জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর থেকে একটি অনলাইন নিউজ কনফারেন্সে বক্তব্যের সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যদিও বয়স্ক ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তবুও কম বয়সী যে ঝুঁকির মধ্যে নেই তা বলা যাবে না।’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তরুণরা অপরাজেয় নয়। এই ভাইরাস তোমাদের কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে রাখতে পারে কিংবা মেরেও ফেরতে পারে। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও অল্প বয়সী অসুস্থ না হলেও তিনি যেখানে যাবেন তার মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।
কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার জনের বেশি মানুষ।
বয়স্ক রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি হওয়ায় অনেক দেশেই তরুণেরা স্বাস্থ্য সতর্কতা নিয়ে আত্মসন্তুষ্ট। এ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের মন্তব্যে সেই বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।
ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরু হয় চীনের উহান শহরে। ধীরে ধীরে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখন এই ভাইরাস মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ইউরোপে।অন্য যেকোন দেশের চেয়ে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। শুধুমাত্র শুক্রবারেই দেশটিতে সর্বোচ্চ ৬২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ইতালিতে মারা গেছেন ৪ হাজার ৩২ জন।