আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আটক করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও উদারতা ও দয়া-মায়া দেখানো যাবে না। কারণ তাদের কারণে ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) আনার ব্যবস্থা করার আহ্বন জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) তার বাসভবনে ১৪ দলের জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্ক বাংলাদেশে আঘাত করেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এই প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সেখানে প্রয়োজন সেখানেই লকডাউন করতে হবে।
১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাসদের মোহসিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।