1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
March 16, 2025, 7:13 am

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শ্রমবাজারে আবার শঙ্কা

  • প্রকাশিত : সোমবার, এপ্রিল ৫, ২০২১
  • 236 বার পঠিত

করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে গতবছরের এপ্রিল থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ থেকে মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন কর্মী দেশে ফেরৎ এসেছিলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ নিজেই এ বছরের ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান। যদিও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে করোনায় কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় বিদেশে শ্রমবাজার আবারও সংকটে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রা’র সাবেক সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ সোমবার ইত্তেফাককে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণকাল দীর্ঘ হলে জনশক্তি রপ্তানি খাত বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই খাতের ব্যবসায়ীরা নতুন করে চিন্তিত। গতবছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বলতে গেলে এই খাতের ব্যবসা গর্তে পড়ে আছে।’

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় গতবছর বেশিরভাগ দেশই ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে। ফলে প্রবাসে কর্মরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক করোনার প্রথম ঢেউয়ে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হন। ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই দুই লাখ অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন:  সারাদেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, ঝড়ের আশঙ্কা

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগেই এই প্রাদুর্ভাব হানা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইতালিসহ আরও নানা দেশে। যেখানে বহু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করতেন। ওই দেশগুলোয় গতবছরের শুরুর দিকেই লকডাউন শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান প্রবাসী শ্রমিকরা। বিশেষ করে যারা অবৈধভাবে ছিলেন, তাদের অনেককে জোর করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আবার বৈধ শ্রমিকদের অনেকে চাকরিচ্যুত হন। কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বেশিরভাগের সেটি নবায়ন করা হচ্ছে না। আবার চুক্তির মেয়াদ যাদের আছে, তাদের অনেককেই ছুটির নামে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বায়রা’র একাধিক সদস্য ইত্তেফাককে জানান, গতবছর লকডাউনের পর ফিরে আসা শ্রমিকদের অনেকে এখনও বিদেশের কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। অবশ্য সৌদিআরব থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের বেশিরভাগই ফিরে গেছেন। অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি উপায়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে প্রবাসীদের বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামুরু)। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে ২০১৬ সালের যে আন্তর্জাতিক বিধিমালা রয়েছে, সেখানে বলা আছে- যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অভিবাসী শ্রমিকরা যেই দেশে অবস্থান করবেন, তাদের দায়িত্ব সে দেশের ওপরই বর্তায়। অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলো সেই বিধিমালারও তোয়াক্কা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

জনশক্তি রপ্তানির লক্ষ্যে নতুন-নতুন শ্রমবাজারও সন্ধান করছে সরকার। সরকারের সেই চেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই খাতের ব্যবসায়ীরাও কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয় ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। তবে একটি ঘটনায় সেই সুযোগ আপাতত থেমে গেছে। এবিষয়ে গত ২৪ মার্চ নথিপত্রসহ অভিযোগ যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোসহ (বিএমইটি) সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ওই অভিযোগে দেখা যায়, বায়রার সদস্য ও ‘মাস-বাংলা ওভারসিজ’-এর মালিক জামিল হোসাইন দাবি করেছেন- ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে তিনি জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ পান। পোল্যান্ডের একটি কোম্পানি থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি কিছু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পান। কিন্তু পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় গতবছরের জানুয়ারিতে ১৫ জন বাংলাদেশি প্রার্থীকে তার এজেন্সি থেকে নয়াদিল্লীর পোল্যান্ড দূতাবাসে পাঠানো হয়। ভারতে অবস্থানকালে ওই ১৫জন বাংলাদেশি স্থানীয় আইন অমান্য করায় রিপোর্ট যায় পোল্যান্ড দূতাবাসে। যার কারণে প্যোলান্ডের ‘এম. গ্রুপ প্লাস’ কোম্পানি ওই ১৫ জনের ভিসা সাময়িকভাবে বাতিল করে দেয়, যদিও তাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ ছিল গতবছরের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অভিযোগে জামিল হোসাইন উল্লেখ করেন, ওই ১৫ বাংলাদেশির প্যোলান্ডের ভিসা বাতিলের পর মানব পাচারের মামলায় তাকে এবছরের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়। তার অভিযোগ, তার বনানী অফিসের বাড়ির মালিকের সঙ্গে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তিনি। যদিও মামলায় বলা হয়েছে, ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করে পোল্যান্ডে মানবপাচারের চেষ্টা করছিলেন জামিল হোসাইন। এব্যাপারে জামিল ইত্তেফাককে বলেন, পারমিট ভুয়া ছিল না। আমার কাছে সকল প্রমাণপত্র রয়েছে।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন ‘বায়রা’ বর্তমানে চলছে প্রশাসক দিয়ে। আগামী ২২ মে বায়রার নির্বাচন হওয়ার কথা। বায়রাতেও অভিযোগ করেছেন জামিল হোসাইন। বায়রাতে প্রশাসক নিয়োগের আগে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বেনজীর আহমেদ ইত্তেফাককে জানান, মাস-বাংলা ওভারসিজের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন তাই এবিষয়ে এখন বিস্তারিত বলা সমীচীন হবে না। অবশ্য তিনি এ-ও বলেন, মাঝেমধ্যেই মানবপাচারের অভিযোগে বায়রার সদস্যদের ধরপাকড়ে জনশক্তি রপ্তানীকারকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে তিনিও বায়রার সভাপতি থাকাকালে একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পোল্যান্ডে জনশক্তি রপ্তানির ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park