মোশাররফ হোসেনঃ রয়টার্স ও এপিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ হবার পর বাংলাদেশ সরকার নড়েচড়ে বসে ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সাথে মোদির গত মাসের ভারচুয়াল আলোচনায় টিকা সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দুই সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে ।
এরপর সিরাম ইনস্টিটিউট ও তাদের সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর সংগে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি । জরুরি হিসেবে সিরাম টিকা সরবরাহ করার নিশ্চয়তা দিয়েছে। সরকার টু সরকারের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই । বাণিজ্যিকে নিষেধাজ্ঞা আছে ।ৎ
মংগলবার সেরামের ব্যাংক হিসাবে ১২কোটি ডলার জমা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক জানান। সে অনুযায়ী ৩কোটি ডোজ টিকা আসবে প্রথম দফায় ।
ভারতের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, বাংলাদেশ সময়মত টিকা পাবে । এটা দুই দেশের সরকারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার ফল ।
বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল এলায়েনসহ বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সংগে চুক্তি অনুযায়ী ১৩ কোটি ৭৬লাখ মানুষকে টিকা দেবার ব্যাবস্থা করেছে । টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ৫হাজার ৬৫৯কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
উল্লেক্ষ্য সিরামের এক ডোজ টিকা বাংলাদেশের ৪২৫ টাকায় দেয়া যাবে । ১২ সপ্তাহ পর দিতে হবে দিতীয় ডোজ ।১৮বছরের নীচে ও গর্ভবতী মাকে টিকা দেয়া হবেনা।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক। তাদের এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গভ্যাক্স’।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের হেড অব কোয়ালিটি অপারেশন ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড গত বছরের ২ জুলাই নতুন করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের দাবি করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই টিকা উদ্ভাবনের দাবি করল। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে।
ড. মহিউদ্দিন জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ চলতি মাসেই তারা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাবে। উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য তারা চেষ্টা চালাবে।