ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে বাংলাদেশ হাই কমিশন, অটোয়া কর্তৃপক্ষ ১৭ মার্চ৷ ২০২৩ এ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনিতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমার-এর ১০৩ তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে দিবসের শুরুতে সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মান্যবর হাইকমিশনর ড. খলিলুর রহমান। এসময় হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটির পরবর্তি কর্মসুচি বাংলাদেশ হাইকমিশন মিলনায়তনে বিকাল ৪:৩০ মি. শুরু হয়। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ স্বপ্ন রঙিন প্রতিপাদ্য নিয়েই আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। শুরুতেই বলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং দুজন শিশু বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর বক্তহ্য রাখে।
সম্প্রতি পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের দেশ বিরোধী এবং পরাজিত শক্তিরা এই হামলা চালায়। ২০০১, ২০০৬, ২০১৩, ২০১৪ যারা বাংলাদেশকে অরাজক রাষ্ট্র হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন তারাই এই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে কানাদা সরকার এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অবগত করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি অসম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ, এবং শিশু বান্ধব রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে বর্ত্মান সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতোপুর্বে এই দিবস উপলক্ষে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুরা দুই ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুরা চিত্রাঙ্কণ এবং ১০ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এরপর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরিশেষে মান্যবর হাইকমিশনার শিশু এবং অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন।