<strong>মোশাররফ হোসেন:</strong> কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সাধারণ নির্বাচন ২জুন। ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। তবে ডাকযোগে বেয়ালটে ভোট দেয়া শুরু করেছে ভোটাররা। বৃহস্পতিবার ভোট কেন্দ্রে এসব ভোট পৌঁছাতে হবে।
৪৩ তম নির্বাচনে এবার ১২৪টি আসনের জন্য ৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে লড়াই হলেও এটা মূলত পার্টি কনজারভেটিভ ও লিবারেল পার্টির লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গতবারের ২য় দল এন ডি পি এ দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে।
পার্টি কনজারভেটিভ গতবারের সরকার গঠন করেছিল। ডাগ ফোর্ড প্রিমিয়ার হিসেবে মহাদূযোগ করেনা মোকাবিলা ও শিক্ষা , সাসথো বেয়াবসপনায় মারাত্মক বিপাকে ছিলেন। এখন চলছে বাজারে আগুন। চাকুরি হারিয়েছে একটি বড় অংশের মানুষ। এসব কারণে এবার নির্বাচনে কঠিন সময় পারি দিতে হবে।
অন্যদিকে গতবারের বাজে ফলাফল ও ভরাডুবি কাটিয়ে লিবারেল পার্টি ডেল ডুকার নেতৃত্বে এবার ঘুরে দাঁড়ানোয় তারা সরকার গঠনের চেষ্টা করবে। তবে এনডিপি গতবারের সংসদে ২য় অবস্থান ধরে রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। দলটির নেতা জগমিত সিং ও হরওয়ারথ বদ্ধপরিকর।
কর্মদিবস হলে ও কাজ শেষে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট দেয়ার সুযোগ রেখেছে নির্বাচন কমিশন। আজ তাপমাত্রা ৩৭ হলে ও বুধবার বৃষ্টি নামবে।আবার বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে যাবে। তারপরও করোনাকে জয় করে ভোট দিতে মানুষের ঢল নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। বাড়ি ও বাসায় ভোট চাওয়ার পর্ব দল বেঁধে লিবারেল লাল, পার্টি কনজারভেটিভ নীল, এনডিপি কমলা, পার্টি সবুজ পতাকা, টি শার্ট পরে অন্টারিও প্রদেশে র সর্বশেষ শোভাযাত্রা করেছে। উল্লেখ্য কানাডার বড় প্রদেশ অন্টারিও আওতায় কানাডার রাজধানী অটোয়া ও রয়েছে।
বাঙালি প্রার্থী ডলি বেগম আবার নির্বাচিত হচ্ছে! এসকারবোরো সাউথওয়েসট এলাকায় গতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন বাঙালি ডলি বেগম। এনডিপি থেকে এবারও ডলি বেগমের জয়ের আশা করছেন বাঙালিরা। তার সংগে জোর লড়াই হবে লিবারেল পার্টির লিসা পেয়াটেলের।
অপরদিকে কানিজ মৌলি বারলিংটন এলাকায় বাঙালি হিসেবে এবার প্রার্থী হয়েছেন লিবারেল পার্টি থেকে। তার জন্য বাঙালি ও মূলধারার রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সকলে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকুরি, দোরববোমূললো, অভিবাসন,নিরাপত্তা আবাসনে বিশেষ উদ্যোগ ও সুবিধা দেওয়ার অংগিকার করে ভোট যুদ্ধে নামে লিবারেল পার্টি। অপরদিকে পার্ট কনজারভেটিভ আবাসন, নিরাপত্তা লং হোম সুবিধা দেওয়ার অংগিকার করেছে। এনডিপি আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিষয় গুরুত্ব দিয়েছে।
সচেতন নাগরিকরা তাদের মূল্যবান ভোট দেখে শুনে দেবে। বিশেষ করে নাগরিক চাহিদা মেটাতে যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ছোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। তাই ফলাফল প্রকাশ হতে সময় বেশি লাগবে না। তবে সরকারি ফলাফল শুক্রবার জানা যাবে বলে আশা করা যায়।