জাতীয় সংসদের নাটোর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নামে কানাডায় বাড়ি আছে কিনা তার সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। নাটোরের সানরাইজ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রেজাউল চৌধুরীকে এই তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর কপি দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের কাছেও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন। দ্বৈত নাগরিকের তালিকায় নাটোর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নাম না থাকার অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে রেজাউল চৌধুরীর আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত তার আবেদন নিষ্পত্তি আদেশ দেন। তারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. বেলাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
হাইকোর্ট গতবছর ২১ ডিসেম্বর এক আদেশে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে অথবা কিনেছে, যেসব বাংলাদেশির দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে-বিদেশে আসা-যাওয়া করছেন, তাদের তালিকা চান। এনির্দেশে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপক্ষকে গত মার্চে জানানো হয় যে, দুই দেশের নাগরিক হিসেবে ১৩ হাজার ৯৩১ বাংলাদেশির তথ্য পাওয়া গেছে। এরা বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্য একটি দেশের নাগরিক। সে হিসেবে তারা দ্বৈত পাসপোর্টধারী। হাইকোর্টে দাখিলের জন্য পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী সর্বমোট ১০৪ দেশের নাগরিক তারা। এর মধ্যে আমেরিকারই ১০ হাজার ৭৭৪ জন। এই তথ্য আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ অবস্থায় ওই তালিকায় নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রীর নাম নেই অভিযোগ করে আদালতে মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করেন রেজাউল চৌধুরী। এবিষয়ে বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে ‘স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি কিনেছেন এমপি শিমুল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত এই আবেদন করা হয়।