মোশাররফ হোসেন: দাবানলের পর বায়ু দূষণে কানাডার মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। এরকম পরিস্থিতিতে কানাডার ১৫৬তম স্বাধীনতা দিবসে সাড়ে ৪ কোটি মানুষ মেতেছে মহাউৎসবে। শনিবার দিন ছিল ছুটি। রোববারও। এরপর সোমবার সরকারি ছুটি। তিন দিনের ছুটি মিলে সবাই ছুটছেন আনন্দ উৎসবের মিলনমেলায়।
শনিবার সকালে টরেন্টোর সব পার্কে বনভোজন।আনন্দউৎসবে মেতে লোকজন পারিবারিক ভাবে বেড়াতে বেরিয়েছেন। শহরের উডবাইন বিচ, অ্যাশবিরিজ বে বীচ, সেনটেনিয়াল, মিলিকেন, মিলিকেন স্টার ওয়াডলো, থমসন, ওয়ান্ডার ল্যাডসহ বিভিন্ন পার্ক, ডেনটোনিযা পার্ক রাত ১০টায় আতশবাজির খেলা ছিল মনোমুগ্ধকর।
তবে দিনভর টরেন্টোর ফুটবল মাঠে ফুটবল, বুলু জায়েস মাঠে বেসবল, শহরে রঙিন শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা ঘুরে আতশবাজির খেলা দেখে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন। ডাউনটাউনে নেথাল ফিলিপস স্কোয়ার, ডাউনসভিউ পার্কে মানুষের ঢল নামে।
সরকারি অফিস ও বেসরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার পতাকা উত্তোলন ছাড়াও সাজানো হয়। গাড়ি বাসে পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কানাডার আলবার্টা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, অন্টারিও, কুইবেক, মেনিটোবা, সাসকাচুয়ান, নোভো এসকোশিয়া, নিউ বুরূনসউইক, নিউ ফাউন্ড ল্যান্ড ও লাবরাডর,পিরিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড, এবং নুনাভাট, উকন, নর্থইস্ট টেরিটরি – তেরোটি রাজ্যে এ মহাউৎসব যোগ দেন সিংহভাগ নাগরিকবৃন্দ।
আমাদের দেশ সবমানুষের…ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শনিবার নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেন, কানাডা সব মানুষের। সবার কল্যাণে কাজ করে।
তিনি অতীতকে পেছনে ফেলে একযোগে কাজ করে কানাডাকে এগিয়ে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের পতাকা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের। সকল সংকটে কানাডা কীভাবে কাজ করে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তা অনুসরণ করে। এজন্য আসুন সবাই মিলে স্বপ্ননের দেশ কানাডাকে গড়ে তুলি। সবার অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করি।
জাস্টিন ট্রুডো সকালে অটোয়ার লিবরিটন ফ্লাটসের মহাউৎসব যোগ দেন। এসময় কানাডার গভর্নর জেনারেল মেরি সিমন সাথে ছিলেন। এখানে ৩০হাজার মানুষের ঢল নামে ।
নায়াগ্রা ফলসে মানুষের ঢল
বিশ্ববিখ্যাত নায়াগ্রা ফলসে মানুষের ঢল নেমেছিল শনিবার। ২৫০ফুট উঁচু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ ও কানাডার সংযোগ স্থানে জলপ্রপাতের স্বচ্ছ পানি নামে অবিরাম। নীচে পানির স্রোত ঠেলে চলে জাহাজ। এ মনোমুগ্ধকর জায়গায় বেড়াতে আসে বিশ্বের সব পর্যটক।
কানাডা দিবসে রাত ১০টায় আতশবাজির খেলা চলে। জলপ্রপাতের পানিতে আলোকরশ্মি ফেলে রাঙিয়ে তোলা হয়। নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে সবার আগ্রহ থাকে। এটা কেউ বাদ দেন না।
নায়াগ্রা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। এখানে রাত কাটানোর তারকাখচিত হোটেল, রির্সোট, ওয়ান্ডার ল্যান্ড, ক্যাসিনো রয়েছে
নয়নাভিরাম নায়াগ্রা তৈরির কাহিনি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়।