গত ১১ই অক্টোবর, বুধবার টরন্টো শহরের ডেনফোরর্থ এলাকায় কানাডা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কানাডার প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলামর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের তথাকথিত নেতা ফারুকি হাসান কর্তৃক বিতর্কিত পকেট কমিটি করার প্রতিবাদ করতে গেলে, তার পালিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক তাজুল ইসলাম। কানাডায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে কুক্ষিগত করতে গিয়ে ফারুকি হাসান চরম বিতর্কিত একটি পকেট কমিটি গঠন করেন। দীর্ঘদিন থেকে কানাডায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীবৃন্দকে বাদ দিয়ে ও কয়েকজনকে পদাবনতি করত: পদলোভী, সুবিধাবাদী, বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদেরকে এই পকেট কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে তথাকথিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরুল ইসলাম (বহির বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সহ-সভাপতি মইনুল ইসলামের ছোট ভাই), ওয়াকার ইসলাম (ইমরুলের পুত্র) ও মুসলেহ উদ্দিন তেড়ে এসে অতর্কিত তাজুল ইসলামকে আক্রমণ করে। তাদের মুষ্টিঘাতে তাজুল ইসলাম ফুটপাতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদকারীদের অনেকেই ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত তাজুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এই আক্রমণকারীদের পক্ষের অনেকেই তাজুলকে আঘাত করার জন্য ইন্ধন জুগিয়েছে। এমরুলের মত একজন বিতর্কিত, পদলোভী, সুবিধাবাদী ও অযোগ্য তথাকথিত আওয়ামী লীগারের হাতে বঙ্গবন্ধু আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক নিবেদিতপ্রাণ তাজুল ইসলাম রক্তাক্ত হওয়া কোন রকমেই মেনে নেওয়া যায় না। কানাডায় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই মানব বন্ধনে শামিল হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে। ফারুকি হাসানের আশীর্বাদে এমরুলেরা বিতর্কিত কমিটিতে পদোন্নতি পেয়ে নেতৃত্বের উন্মাদনায় আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে চরমভাবে কলঙ্কিত করছে। কানাডার মত সভ্য দেশে এই ধরণের অসভ্য আচরণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিকে দারুণ ভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। ইতিমধ্যে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য যে, নেতাকর্মীরা যখন মানব-বন্ধনে, তখন তাজুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। -বিজ্ঞপ্তি