সাত দেশের খেলোয়াড়রা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। দক্ষিন এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আগামীকাল। কাঠমান্ডুর দশরথ ফুটবল স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া প্রথম ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্ট।
এখন ফুটবল মাঠে গড়ানোর পালা। তবে কোন জাঁকজঁমক আয়োজন থাকছে না সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে। কোন অনুষ্ঠানই থাকছে না উপমহাদেশের এই নারী ফুটবলের আয়োজনকে ঘিরে। উড়বেনা কোন বেলুন বা ফেস্টুন। অতিথিরা শুধুমাত্র মাঠে গিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দনের মাধ্যমে সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দায় সারতে চায় স্বাগতিক নেপাল।
দেশের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী কিংবা প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেওবা নন, সাত দেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মহেশুর জং গহদরাজ। তাকে সঙ্গ দেবেন নেপাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সদস্য সচিব টাংকা লাল ঘিশিং।
তবে আর্থিক মন্দা জাতীয় কোন সমস্যার কারণে আয়োজক নেপাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠন রাখছে না এমনটা নয়। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের সেরা এই টুর্নামেন্টটি নাকি তেমন গুরুত্বই পাচ্ছেনা হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত নেপাল কর্তৃপক্ষের কাছে । তেমনটাই জানালেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সাফের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘নারী টুর্নামেন্ট বলেই আয়োজকরা বাড়তি কিছু করতে চায় না। একে জাঁকজঁমকপূর্ন করার কোন ইচ্ছাই নেই নেপালের। তাই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কাল শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা।’
উদ্বোধনী ম্যাচে চারবারের রানারআপ স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে পাহাড় বেস্টিত আরেক দেশ ভুটান। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নেপালে পৌঁছে গেছে অংশগ্রহনকারী ৭ দলের সবকটি দেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন ভেন্যুতে। দীর্ঘ আট বছর পর টুর্নামেন্টে ফের অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে পাকিস্তানের নারী ফুটবল দল। তাদের স্বাগত জানিয়েছে আগত বাকী ৬ দেশের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং টুর্নামেন্টের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও।