কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে পানির বিরোধের জের ধরে বছরের পর বছর ধরে চলা সহিংসতা আবারও শুরু হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩১ জন মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। বিগত কয়েকবছরে সীমান্ত অঞ্চল থেকে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার উভয় দেশের সীমান্তবর্তী লোকেরা পানির জায়গায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর পরে একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে সৈন্যরা সংঘাতে জড়িয়ে পরলে একটি চুক্তির কারণে তারা পিছু হঠতে সম্মত হয়। যদিও পরবর্তীতে গুলি চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
সহিংসতায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট হলেও কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলিজা সলটনবকোভা এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানান, বৃহস্পতিবার সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি ৩১ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১৫০ জন। নিহতদের মধ্যে একজন অল্প বয়সী মেয়েও আছে।
আরও পড়ুন:
কিরগিজ জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, সীমান্তবর্তী ব্যাটেন অঞ্চলের কিছু বিল্ডিংয়ে আগুন জ্বলছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০টির বেশি বাড়ি, একটি স্কুল, একটি ক্যাসিনো এবং আটটি দোকান।
ব্যাটেন প্রদেশের গভর্নর জানান, পানির সীমানায় বসানো সরঞ্জাম অপসারণ করানো উচিত বলে উভয় পক্ষই প্রথমে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু পরে তাজিকিস্তান এটি প্রত্যাখ্যান করে।
ব্যাটেন পুলিশের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে জানান, রাতেও গোলাগুলি চলেছে। তবে অতটা নিবিড়ভাবে নয়। উভয়পক্ষের সামরিক ইউনিট ও বেসামরিক লোকদের মাঝে এ সহিংসতা হয়।