অনলাইন নিউজ ডেস্ক : দেড় দশক আগে ফরিদপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী মো. জুয়েল (১৬) হত্যা মামলায় চার তরুণকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাহবুবুর রহমান বাবু, মেহেদী হাসান রনি, তৌফিক জাহান জনি, ইকবাল হোসেন মোল্লা রাজু। এদের মধ্যে রনি পলাতক। রায়ে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন।
ঘটনার সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও বর্তমানে তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হওয়ায় তাদের কারাগারেই সাজা খাটতে হবে বলে জানান বিচারক।
এই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন আসামি ছিলেন। যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে কয়েক বছর আগে। এই আসামিরা শিশু হওয়ায় ১৯৭৪ সালের শিশু আইনের ৫২ ধারায় তাদের বিচার হয়।
মামলাটি আলাদা করে আবারও বিচার শুরু হয়। এ সময় পুরো বিচার প্রক্রিয়া নতুন করে হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১১ জনের সাক্ষ্য নেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকার এক নম্বর সড়কের বাবুলের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠিসোটা ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জুয়েলকে হত্যা করা হয়।
জুয়েলের বড় ভাই মো. মিলন মিয়া এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কোতয়ালী থানায়। দ্রুত বিচারের জন্য ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ও শিশু আদালত থেকে ২০০৬ সালে ঢাকায় মামলার নথিপত্র স্থানান্তর করা হয়।