1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
April 27, 2025, 2:11 pm

কোচবিহার ভোটকেন্দ্রে নিহতদের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে

  • প্রকাশিত : শনিবার, এপ্রিল ১০, ২০২১
  • 407 বার পঠিত

রতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে রাজ্য বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহার ভোটকেন্দ্রে নিহত চারজনর মৃত্যু কেন্দ্রীয় পুলিশের গুলিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার সকালে কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএপিএফের (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স) গুলিতে চার ব্যক্তির প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিএপিএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)। খবর আনন্দবাজার।

এর আগে সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করে। অন্যদিকে, আনন্দ তাদের সমর্থক বলে দাবি করেছে তৃণমূল।

এদিকে শীতলকুচিতে চারজন নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‌দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’

বুথের ভেতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের ভাংচুর: ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন অতিরিক্ত সচিবের

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেই দায়ী করেছেন। তার বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে বলেন তিনি, তাতেই একটি বিশেষ শ্রেণির লোক উত্তেজিত এবং তা থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গুলি চালিয়ে থাকে, তা আত্মরক্ষার্থেই চালিয়েছে। আসলে তৃণমূল জানে, ওরা হারছে। তাই উশৃঙ্খলতা তৈরি করছে।’

রাজ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। বাধা দেওয়া হচ্ছিল ভোটদানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরা হয়। রাইফেলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাতেই গুলি চলে।

তবে স্থানীয়দের যুক্তি, নিহতদের পরিচয় তাদের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের সমর্থন নয়। তারা ভোটার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে যদি গুলি চালাতে হয়, তাহলে পায়েও তো গুলি চালাতে পারত। তা না করে সোজাসুজি বুকে গুলি করা হলো কেন প্রত্যেককে?

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park