যশোর শহরের খড়কী হাজাম পাড়ায় চিহ্নিত দূর্বত্ত চক্র একটি ব্যক্তি মালিকানা বসবাসযোগ্য বাস্তু জমি জবর দখলে রেখেছে। ভূক্তভোগী ঐ জমি মালিক এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ১৭ এপ্রিল অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত চাঁদ মিয়া খানের পুত্র মনির খান (৫৫) ২০০৪ সালে খড়কী হাজাম পাড়া এলাকায় ৪ দশমিক ১৩ শতক জমি ক্রয় করেন শুকুর আলীর স্ত্রী রিজিয়ার কাছ থেকে। জেএল নং-৭৯ খড়কী মৌজায় দাগ নম্বর- ৭৩৫, খতিয়ান নং- ২১৫০ এ জমিটির অবস্থান। এরপর যথাযথ নিয়মে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন।
ইতোমধ্যে উল্লেখিত গতি ১৬ এপ্রিল তিনি সংবাদ পান যে, খড়কীর ফারুকের পুত্র বাহাদুর (৩৫)তার জমিতে মাটি ভরাটের চেষ্টা করছে।এ দিন সন্ধ্যায় মনির খান নিজ জমির অবস্থা দেখতে যান। এসময় বাহাদুর তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেয়। প্রতিবেশি মৃত সিদ্দিক খানের পুত্র মুরাদ খান ও আনু (৪৫) ঘটনা দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসলে বিবাদি তাদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেদিন রাত হয়ে গেছে বিধায় পরের দিন রোববার কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোাগ করেন। এস আই আব্দুর রহমান অভিযোগটির তদন্ত ভার পেয়েছেন।
ভূক্তভোগী মনির খান জানান, নিজ জন্মভূমি রায়পাড়া থেকে খড়কী ভাল বিধায় বসবাসের বাড়ী করার মানসেই জমিটি তিনি ক্রয় করেছিলেন। এখন তার শরীরের হার্ট অপারেশনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে বিধায় রায়পাড়ার বাড়িটি বিক্রি করে নিজের চিকিৎসার খবচ বহন করেছেন। তাই নিজের বাড়ী ঘর নেই। স্ত্রী সন্তান সন্ততি নিয়ে তিনি ঘরবাড়িহীন হয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বাধ্য হয়ে খড়কী হাজাম পাড়ার ক্রয়কৃত জমিতে তিনি বাড়ী নির্মাণ করতে গেলে সেখানকার বাহাদুর গং তার কাজে বাঁধা দিয়েছে। বিবাদী বাহাদুর ভয়ঙ্কর দুদ্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। সে এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু। এর আগেও সে কয়েকজনকে জমাজমির প্রতারনায় পথের ফকির বানিয়েছে।
অথচ তার পিতা ফারুক থেকেই জমিটি ক্রয়সহ রেজিস্ট্রির সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছিলেন তার জমি ক্রয়ে। বাহাদুর স্বৈর পন্থায় অপরাধ করলেও প্রাণভয়ে কেউ তার অপকর্মে বাঁধা দিচ্ছেনা। এ কারনে ন্যয্য বিচার পেতে তিনি জনগনের বন্ধু পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি সেখানে সুবিচার পাবেন বলে আশাবাদি। সেই আশাবাদই মনির খান ব্যক্ত করেছেন।