দেশের সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে পেনশন–ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে এ কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হলেও ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি দেশের সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩” পাস হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বর্তমানে শুধু সরকারি কর্মচারীরা পেনশন সুবিধা পান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, সবার জন্য পেনশন চালু করা হবে। এই বিলটি পাস হওয়ার মাধ্যমে সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করার আইনি ভিত্তি তৈরি হলো।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক এতে অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও পেনশন স্কিমের আওতায় আনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মাসিক পেনশন–সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদাদাতাকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সে বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন।