চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডা ইনক এর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ছিল জমজমাট ও আনন্দে ভরপুর। এসো মিলি একসাথে,আনন্দ অবগাহনে,,।
রোববার টরেন্টোর ১৪৬৮ জেজে ব্যাংকোয়েট মিলনায়তনে তিন ঘন্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে বিপুল সংখ্যক সদস্য মুগ্ধ ও আনন্দিত। এত কম সময়ের প্রস্তুতিতে নান্দনিক অনুষ্ঠান, ভাবাই যায়না।
কী ছিলনা ! সবাই তো হল। গান, নাচ, নাটিকা। মুখরোচক খাবার। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠিরা মিলে নেচে গেয়ে একাকার। ভাবখানা এমন , কিশোর কুমারের গানের মতই,, এই রাত ,, তোমার, আমার,,।
বড় পর্দায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিডিও ফুটেজের দৃশ্যায়ণের পাশাপাশি মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ,গান, নাচ,কবিতা , নাটিকা পরিবেশনের মধ্যে আধুনিকতা লক্ষ্য করা গেছে। চেষ্টাছিল যেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠান হচ্ছে।এটাই নান্দনিকতা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি,, ও কানাডার জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। এরপর এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
এরপরই সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরীর পরিচালনায় সভাপতি ডঃ হুমায়ুন কবির, সহ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সিনিয়র সদস্য ডঃ এ এম তোহা, তেহজিনা এমদাদ নূপুর, সাবেক শিক্ষক সোহেল চৌধুরী, এলামনাই সদস্য মোশাররফ হোসেন এমদাদুল হক, সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
অতঃপর মাহতাবউদ্দিন শাওনের অসাধারণ উপস্থাপনা ও মারুফ হাসান এর অনবদ্য সুরের মূরছনায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সূচনাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্ত প্রেম কবিতা আবৃত্তি করেন ডঃ হুমায়ুন কবির। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী নন্দিতা মজুমদারের, সাগরের নীল থেকে…আজ মন চেয়েছে,,আমি হারিয়ে যাব,, গান পরিবেশনের মাধ্যমে মিলনাতনের সকল শ্রোতার মন ছুঁয়ে যায়। একে একে ক্রম অনুযায়ী মাহফুজার বন্ধু মানে কবিতা আবৃত্তি, নুরুননাহার ও হাবিবের,” এ কি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে ওগো বন্ধু ,, পাশে থেকো,, গান সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমপাসে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত এলামনাই বাতেনের “নীলানজনা” কবিতা আবৃত্তি ছিল অসাধারণ। সাম্প্রতিক মানবতা বিষয়ক কবিতা সবার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এরপর মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের নৃত্যে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত তাপস দেব ও তার দল। শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালে তালে মৃদংগ ও মাদলের ছন্দে আনন্দ ধারা ছড়িয়ে দেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, ওরে সাম্পান ওয়ালা ,, গানের সুরে নৃত্য ছিল মনমুগ্ধকর।
অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রম ছিল তানভীর হক লিখিত ও পরিচালিত নাটিকা “আলাপন”। ক্যাম্পাস জীবনের প্রেম ভিত্তিক নাটিকাটি মূলত একজন কবির ভালবাসার উপস্থাপনা। এতে তরুণ বয়সের আবেগ ছিল। শেষে মুছে যাওয়া দিনগুলি ,, ও আজ দুজনার দুটি পথ ওগো , দুটি দিকে গেছে বেঁকে,, গানের নেপথ্য আবহ সঙ্গীত। এতে তানভীর হক , সাজ্জাদ হোসেন, মাহফুজা অভিনয় করেন।
শেষ পর্বের অনুষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের নাবিল ও শিল্পী মারুফ ও ছেলে বুননের গান দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়। যা ছিল আনন্দে ভরপুর।
গানে মুগ্ধ হয়ে আমন্ত্রিত অতিথি কানাডা বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হাসান শিল্পী বুননকে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।