অনলাইন ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় চালক ও হেলপারসহ তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে দুপুরে দিরাই-মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গাড়ির চালক ও হেলপাররা। এ সময় দিরাই পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই কলেজছাত্রী সম্ভ্রম বাঁচাতে দিশাহারা হয়ে গাড়ি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন।
মেয়েটির চাচা বলেন, আমার ভাতিজি দিরাই সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। সিলেটের লামাকাজি এলাকায় তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। তার বোনজামাই অজিত দাস তাকে (সিলেট-জ-১১-০৭২৩) সিরিয়ালের লোকাল বাসে তুলে দেয় দিরাইয়ে ফেরার জন্য। সে একাই ফিরছিল।
পথিমধ্যে গাড়ির যাত্রীরা একে একে নেমে গেলে গাড়িটি একপর্যায়ে ফাঁকা হয়ে যায়। লোকাল বাস হলেও নতুন যাত্রী উঠানো থেকে বিরত থাকে গাড়ির স্টাফরা। চালক ও হেলপার মিলে আমার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে সে সুজানগর এলাকায় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়।
দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস বলেন, মেয়েটির মাথায় ও হাতে জখম ছিল। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।