একপার আসাত চীনের শিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে ছিলেন একজন পরোপকারী এবং সফল উদ্যোক্তা। এছাড়া তিনি নিরলসভাবে দেশটির সংখ্যালঘুদের এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্কের জাল স্থাপনে কাজ করে গেছে। শিনজিয়াংয়ের সরকার তাকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলে। একইসঙ্গে মানবতার জন্য ইতিবাচক শক্তি হিসেবে আখ্যা করেছিল। এই খ্যাতি বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশীপ প্রোগ্রাম (আইভিএলপি) থেকে ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জোরপূর্বক গুমের শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে তিনি শিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবিরে আটক রয়েছেন। তার সঙ্গে কাউকে দেখা করা করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তার পরিবারের লোকের সঙ্গেও না।
গত দুই দশকের বেশি সময়ে চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ হয়েছে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ওপর ভিত্তি করে যার মধ্যে আইভিএলপি-ও আছে।
তবে এবারের বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় বসার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের প্রতি সামঞ্জস্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে আবির্ভূত হতে হবে। কৌশল নিয়ে উত্থিত হতে হবে।
ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্টনি ব্লিনকেন পরিষ্কার করেছেন যে বিশ্বে আমেরিকার অবস্থান হবে নেতৃত্ব, পারস্পারিক সহযোগীতা এবং গণতন্ত্রের। পক্ষান্তরে চীন একপ্রকার স্বৈরাচারী নীতি শুরু করেছে এবং খোলামেলাভাবেই গণহত্যা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে কোথাও গণহত্যা এবং পাশবিকতা হলে তারা তা মোকাবিলা করবে।
তাই বাইডেনের নতুন প্রশাসনকে তার মিত্রদের নিয়ে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিব্বত প্রেস