মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর : দীর্ঘ ২০ বছর পর রবিবার (১৬ জানুয়ারি) যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু ও শেষ হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। ভোট গ্রহন করা হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। ঝিকরগাছায় পৌর নির্বাচনে অনিয়ম করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ছয় জন পোলিং এজেন্ট আটক হয়েছেন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন, কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ২৫,৯৯৪ জন ভোটার ১৪টি কেন্দ্রের ৮৬টি ভো টগ্রহণ কক্ষে ভোট প্রদান করেন। সকল কেন্দ্রে ইভিএম ইলেক্ট্রোনিক পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ২১ বছর পর ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন হওয়ায় দিনের শুরুতেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে ভোটারদের মাঝে।
প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান, সুষ্ঠ ভোট গ্রহণে সবধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং শুরু থেকে ভোটারদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নয়টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ৫৪৫ জনপুলিশ সদস্য ছাড়াও মোতায়েন রয়েছে, বিজিবি, র্যাব আনসার সদস্য। এর বাইরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তায় দায়িত্বে ছিলেন। বিএম হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের কাছে মোবাইল রাখার অপরাধে ছয়জনকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
ঝিকরগাছা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোস্তফা জামাল পাশা। এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কম্পিউটার প্রতীকের ইমরান হাসান নিপুন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক নারকেল গাছ প্রতীকের এ.কে.এম আমানুল কাদির টুল্লু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জগ প্রতীকের ছেলিমুল হক সালাম, রেল ইঞ্জিন প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ও মোবাইল ফোন প্রতীকের ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন।