মোশাররফ হোসেন: একদা সৌদি আরব, কাতার , আমিরাত,ইরান, ইরাক,সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে বাংলাদেশের মানুষ জীবিকা নির্বাহ ও জীবন উন্নত করার জন্য গমন করতো। এখন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর জাপান কোরিয়া ছাপিয়ে ইউরোপের সুইডেন, নরওয়ে, ইতালি জার্মানি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া,কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশে বাঙালি গমন করেছেন। তবে ইউরোপ আমেরিকাতে শিক্ষিতরা বেশি গিয়েছিল। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, টেক্সাস, কানাডার টরনটো মনটিরিয়াল, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ,মেলবরন এখন বাঙালির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
তবে ভিজিট ভিসার সহজে আগমনের সুযোগ দেয়ার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মত কানাডার টরনটো ও মনটিরিয়ালে বিপুল সংখ্যক বাঙালির আগমন ঘটেছে। এ সুযোগ নিচ্ছেন কম শিক্ষিত বাঙালি। যেটা এক সময় সৌদি আরবে ঘটেছিল। তারা বেড়াতে এসে কানাডাতে প্রথম বসবাসের সুযোগ নিতে আশ্রয় আবেদন করছেন। সমাজকল্যাণ ভাতা নিতে চেষ্টা করছেন । একই সংগে কর্ম সংস্থান অনুমতি নিয়ে বসবাসের সুযোগের অপেক্ষা য় রয়েছেন। বাংলাদেশে জমিজমা বিক্রি করে কানাডা এসেছেন জীবন বদলের জন্য। বিষয়টির নিশ্চয়তা খোদ অভিবাসন আইনজীবীরা দিতে পারবেন না। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। কিন্ত কে শোনে কার কথা!
টরনটো এসটার পত্রিকার প্রথম পাতা এ সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশন উল্লেখযোগ্য। তারা বলেছে, যারা আসছেন তাদের বসবাসের জন্য বাসা ও বাড়ির অভাব আছে । অনেকে বাসা ভাড়া আকাশ ছোঁয়া দেখে টরনটোর বাসে বসবাস করছেন। যারা বেশি করে ডলার এনেছেন তারা বাসা ভাগাভাগি করছেন। অনেকে শীতের মধ্যেই বাড়ির পাতালে কষ্ট করে বসবাস করছেন।
এরপর কানাডার মূললোসফিতি এখন উচ্চতর। খাদ্যের দাম উচ্চতর। যাতায়াত খরচ মিলে মাসে একজনের খরচ ১৫ ০০- ২০০০ ডলার। এরকম যখন অবস্থা তখন জীবন উন্নয়নের চাইতে ঝুঁকিপূর্ণ।
সন্ধ্যার সময় টরনটোর বাঙালি এলাকা ডেনফোরথের অভিবাসন আইনজীবীদের অফিস ,বাজার, রাস্তার ফুটপাত জুড়ে জনতার ঢল নামে। বাংলা ভাষাতে নাম ধরে ডাকাডাকি ও দলবেধে আলোচনা থেমে দাঁড়াতেই হয়। একই দেশের মানুষ হওয়ার জন্য জানতে চাইলে, সবার এককথা ভাই , আমরা এসেছি জীবিকার জন্য। পারবোতো? বললাম চেষ্টা করে দেখুন, নিশ্চিত কিছুই বলা যাবে না। কানাডার আইন সহজ, তবে যাচাই পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। নাও হতে পারে। ধৈর্য্যের বিষয়। খুব কম সংখ্যক সাফল্য আসে। এটা সৌদি আরব নয়। কর্ম সংস্থান কঠিন।