মোশাররফ হোসেন: করোনোয় কাঁপছে বিশ্ব। কানাডা জুড়ে মহাসতরকতার পর গেল সপ্তাহ জুড়ে সব রাজজে টিকা প্রদান করা হয় ।তবে ফাইজার, মডার্না ও এসটেরাজনকা টিকা সরবরাহে ভাঁটা পরায় মানুষ বিপাকে পড়েছে ।
শুক্রবার ও শনিবার টরনটোয বিচেসেস অব ইস্ট ইযরকে ক্রিসেনট টাউন এলাকায় দিনভর টিকা প্রদান করা হয় । ৩০তলা উঁচু ৫টিসহ অপরাপর ভবনের ৩ হাজার বাসিন্দাদের মডার্না র কোভিড ভ্যাকসিন প্রযোগ করেন ৩০জনের একটি সেবিকা দল।
এলাকার মাইকেল গেরন হাসপাতালের সেবকদের এ দলটি নিম্ন তাপমাত্রায় কাভারড ফিল্ড হাসপাতালে ১৮বছর ও তার উর্ধে টিকা দেওয়া হয়েছে ।এটি আয়োজন করেন এ এলাকার ফেডারেল এমপি নাথানিয়েল এরিসকিন স্মিথ ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ব্র্যাডফোর্ড ।
আবার সিটি মেয়র জন টরি ১৭টি কেন্দ্রে ফাইজার ও মডার্না টিকা দেওয়া র ব্যাবস্থা করেন।
আরও পড়ুনঃ
আমেরিকা থেকে মডার্না ৬ লক্ষাধিক টিকা চলতি সপ্তাহে আসবে বলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন । টিকা সরবরাহে বিলম্ব হওয়ার জন্য কানাডা জুড়ে মহাসতরকতার পর সোমবার থেকে টরনটোয লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । কঠোর কর্মসূচি দিয়েছে অন্টারিও প্রদেশের পিরিমিয়ার ডাগফোর্ড । রাজজো সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
নতুন ধরনের করোনা অনুজীবের সংক্রমণ ক্ষমতা তিনগুণ । এতে তরুণ প্রজন্ম আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি । এজন্য অন্টারিও প্রদেশে বসবাসকারী সকলকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে ।
সংক্রমণ বর্তমান মাত্রায় চললে জুন নাগাদ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি । গড়ে যা প্রতিদিন ৪০হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্য প্রধান জানিয়েছেন । তবে টিকা সরবরাহ বেড়ে গেলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে বলে প্রিমিয়ার ডাগফোর্ড জানিয়েছেন ।