মোশাররফ হোসেন: উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ঈদ বহুজাতিক। আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে নানা বর্ণ, নানা জাতি হলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ উল আযহার নামাজে বিপুল সমাগম ঘটেছে।
তারপর টরেন্টো কানাডার মেগাসিটি। প্রায় দেড় কোটি জনসংখ্যার খৃষ্টানদের পর বৌদ্ধ তারপর মুসলিম। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ থেকে আগত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
পুরুষের পেছনে নারীরা সমবেত হয়ে নামাজ পড়েন।
রকমারি পোশাক ও সব সাজসজ্জা মিলে টরেন্টো ডেনটোনিযা পার্কের ঈদের নামাজ বর্ণিল রূপ ধারণ করে। পুরুষের পাজামা পানজাবি, কটি, শাল এবং নারীরা লেহাংগা, শেলোয়ার কামিজ, বাহারি ওড়না, ঘাগরা পড়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
নামাজ শেষে আলিংগনে আবদ্ধ হন। শিশু ও কিশোর, নারী ও পুরুষ সবাই আনন্দ মেতে ওঠেন।
ডেনটোনিয়া পার্ক জনতার ঢল নামে। এরকম অবস্থা মিসিসাগা, এসকারবোরো, মার্কহাম, ইয়র্ক, রিচমন্ড হিলস সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে।
তবে কোরবানির জন্য গরুর খামারে কিউ পড়ে। মাংস পেতে বিকেল, রাত পেরিয়ে বৃহস্পতিবার গড়িয়েছে।
আমেরিকার ঈদ জামাত
নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি বোস্টন, ডালাসে ঈদের নামাজে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে বলে জানা গেছে। নিউইয়র্কের জামাইকা, বোরংক্স কুইনস, ব্রুকলিন, জ্যাকসান হাইটসে বাঙালির ঢল নামে। জামাইকার মাঠে ঈদ জামাতে বহুজাতিক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সমাগম ঘটে।
লস এঞ্জেলসে অরেঞ্জ কাউন্টি
বাংলাদেশের একুশে পদক প্রাপ্ত ফটো জার্নালিস্টস পাভেল রহমান লস এঞ্জেলস অরেঞ্জ কাউন্টিতে বেড়াতে গেছেন। ঈদ উল আজহার নামাজে অংশগ্রহণ করে বর্ণিল সাজে নারীদের ছবি তোলেন। বহুজাতিক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সমাগমে ঈদ তাকে আকৃষ্ট করে।বোনের সংগে ঈদ পালন করেন তিনি।