দূরবীন অনলাইন : কক্সবাজার টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন গ্রুপের আদিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলাগুলি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বাড়ছে। বিভিন্ন জনে ক্যাম্প সমূহে গড়ে তুলেছে নানান ধরণে সশস্ত্র সংগঠন যেমন,আলেইয়াকিং গ্রুপ, জকির গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপ, হোসেন গ্রুপ, আরএসও সংগঠন।
জানা যায় যে, আলেইয়াকিং গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে আব্দুল হাকিম ডাকাত,জকির গ্রুপের জকির, ইসলাম গ্রুপের ইসলাম, হোসেন গ্রুপের হোসেন এবং আরএসও সংগঠনে আইয়ুব এদের নেতৃত্বে টেকনাফে অবস্থিত আলীখালি ক্যাম্প (২৫) লেদা ক্যাম্প (২৪) মৌচনি, নয়াপাড়া ক্যাম্প (২৬) জাদিমুরা, দমদমিয়া ক্যাম্প (২৭) উনচিপ্রাং ক্যাম্প (২২) চাকমারখোল ক্যাম্প (২১) এই রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমুহে গুলাগুলি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা চলে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকলেও উক্ত রোহিঙ্গা গ্রুপের নেতারা কৌশলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণসহ তাদের কথামত চলতে বাধ্য করে। তাদের কথার বাহিরে গেলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর চালায় নির্যাতন। এসব গ্রুপ স্থানীয় লোকজন সহ অনেক নিরহ সাধারণ রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ নেয়, মুক্তিপণ না পেলে তাদের খুন করেছে। উভয় গ্রুপ প্রতিটি ব্লকে ব্লকে তৈরি করে রাখছে তাদের নিজস্ব র্সোস। এনজিও কর্তৃক বড় কোন অনুদান আসলে সেগুলো উভয় গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়।
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে এসব বাহিনীর সংগঠনের প্রধানরা সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করছে।অনেক সময় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও উভয় গ্রুপের ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে এসব গ্রুপের মধ্যেই বিভিন্ন সময় গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা সহ স্থানীয় মানুষ আতংকের মাঝে থাকে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।
সুত্রমতে আরও জানা যায় যে,আলেইয়াকিং গ্রুপ, জকির গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপ, হোসেন গ্রুপ, আরএসও সংগঠনের প্রধানরা টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের কাছাকাছি পাহাড় গুলোতে অবস্থান করে। ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকে এসব গ্রুপের সদস্যরা তথ্য সংগ্রহ করে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে অনেক সময় এসব গ্রুপের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।এবং তাদের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারও করে। এবং অস্ত্র সহ ওই গ্রুপের প্রায় সদস্য আটক হয়।উক্ত সশস্ত্র সংগঠনের মুল নেতারা আটক না হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে অপরাধ প্রবণতা বাড়তেছে।
সাধারণ অনেক রোহিঙ্গারা বলেন,বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং সে সাথে খাদ্য সরবরাহ সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।কিন্তু কিছু খারাপ প্রকৃতির রোহিঙ্গা লোক তারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ ও তাদের নিজেদের আদিপাত্য বিস্তার ও ক্ষমতার দাপট ও অবৈধ কার্যকলাপ করা ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের শাসন করার লক্ষে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ সৃষ্টি করেছে।এসব সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করেন।