আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রতিপক্ষ কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন চুরির চেষ্টা করছে। হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করেই বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্যে তারা আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন দাখিল করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যে তার প্রচারণা শিবির মামলাও করেছে। কিন্তু প্রথম পর্যায়েই তিনি রাজ্য আদালতে ধাক্কা খেয়েছেন। কয়েকটি রাজ্যে তার মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভরসা এখন ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসি ও ডয়চেভেলের
বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাম্পের মামলা খারিজ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মিশিগান, জর্জিয়া, নেভাদা, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় মামলা করেছে। ভোট গণনায় যথেষ্ট অস্বচ্ছতা ও ট্যাবুলেশন শিট দেখতে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই মিশিগানের আদালতে ভোট গণনা বন্ধ রাখার আবেদন করেন রিপাবলিকানরা।বিচারক সিন্থিয়া স্টিফেন্স জানিয়ে দেন, রিপাবলিকানরা কোনো প্রামাণ্য তথ্য দিতে পারেননি তাদের বক্তব্যের সমর্থনে। ফলে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
জর্জিয়াতেও একইভাবে বিপর্যস্ত ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা। আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল যে, জর্জিয়ার একটি কাউন্টিতে যে পোস্টাল ব্যালট এসেছে তা যেন গণনা করতে দেওয়া না হয়। রিপাবলিকানদের এই দাবি মানতে চায়নি আদালত। মামলা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ভোট গণনার আবেদন বন্ধ করে দিয়েছে আদালত। নেভাডাতেও মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের কাছে নেভাডা রিপাবলিকান পার্টি একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে, যেখানে ‘নির্বাচন কারচুপির অন্তত ৩ হাজার ৬২টি ঘটনা’ তুলে ধরা হয়েছে।
কয়েকটি রাজ্যের আদালতে রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের আবেদন নাকচ হওয়ায় এখন ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভরসা। তিনি রাজ্য আদালতের রায় সেখানে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।