টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসকে লজ্জাজনকভাবে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ডাচদের ৪৪ রানে অলআউট করে দিয়ে লঙ্কানদের জয় ৮ উইকেটে। ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে শ্রীলঙ্কা।
ডাচদের দেওয়া ৪৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে তিন উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুশাল পেরেরা বাহিনী। শূন্য রানে পাথুম নিশাঙ্কা আউট হলে দলীয় ৩১ রানে ফেরেন চারিথ আসালাঙ্কাও। এরপর পেরেরা ও আভিস্কা ফার্নান্দোর ব্যাটে জয়ে নিয়ে ফিরে শ্রীলঙ্কা।
পেরেরা ২৪ বলে ৩৩ ও আসালাঙ্কা ১০ বলে ৬ রান করেন। ফার্নান্দো করেন এক রান। ডাচদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ব্রেন্ডন গ্লোবার ও ফন মেকেরান।
এর আগে নেদারল্যান্ডসকে মাত্র ৪৪ রানেই গুটিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ডাচরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগেও এই নেদারল্যান্ডসই ৩৯ রানে অলআউট হওয়ার বাজে রেকর্ড গড়েছিল। সেটি ছিল এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ২ রানে ম্যাক্স ও’দাউদ রানআউটের শিকার হলে দ্রুত বাকি ব্যাটাররা বিদায় নিতে থাকেন। আরেক ওপেনার স্টেফান মাইবার্গ করেন মাত্র ৫ রান। ডাচদের হয়ে মাত্র একজন ব্যাটার পেরিয়েছেন দশের ঘর। ৯ বলে ১১ রান করেন কলিন অ্যাকারম্যান।
বলতে গেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল বেন কুপারের, ৮ বলে ৯ রান করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি করে উইকেট পান হাসারাঙ্গা ও লাহিরু। থিকশানা এক ওভারে ৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার জন্য এ ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। কেননা দুই ম্যাচ পরই সুপার টুয়েলভের টিকিত কেটেছিল তারা। নেদারল্যান্ডস টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে দুই ম্যাচ শেষেই। প্রথম ম্যাচে নামিবিয়াকে ৭ উইকেটে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে হেরেছে ৬ উইকেটে। সব মিলিয়ে এই আসরের প্রথম পর্বে যাত্রাটা শুভ হয়নি তাদের। প্রথম পর্বের তিন ম্যাচেই হারবরণ করতে হলো নেদারল্যান্ডসকে।