মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদসহ বাংলাদেশের ছয় কর্মকর্তার নামে মার্কিন প্রশাসনের নানা বিধিনিষেধের কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছেন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তারা জানান, এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যখন আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন তখন ওই সময় তিনি বঙ্গভবনে ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নৈশভোজে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গভবনে অবস্থান করছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জানানো হয় অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বের ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ তালিকায় বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকায় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ হুমকির মুখে পড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলেও জানানো হয়।