শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মিরাজ-মুস্তাফিজ।
সাকিব আল হাসানের ফাইফারের মাধ্যমে ভারতকে ১৮৬ রানে বেঁধে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। জয় থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে নবম উইকেট হারিয়ে হারের দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের অবিচ্ছিন্ন রানের জুটিতে এক উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল লাল-সবুজের দল।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। যদিও ম্যাচ শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্দান্ত হবে উইকেট। তবে, শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে চেপে ধরে টাইগার বোলররা। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৮৬ রানে গুঁড়িয়ে যায় ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ।
ভারতের বিরুদ্ধে টাইগার বোলারদের ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। দশ ওভারে ৩৬ রানের খরচায় পাঁচ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে এটিই ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। ভারতীয় ব্যাটিং দূর্গে ধ্বস নামাতে সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইবাদাত হোসেন। ৮ ওভার দুই বলে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
৭০ বলের ৭৩ রান করে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এক লোকেশ রাহুলই যা টাইগার বোলারদের সামনে লড়তে পেরেছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩১ বলে ২৭, বিরাট কোহলি ৩৯ বলে ২৪, ওয়াশিংটন সুন্দর ৪৩ বলে ১৯ রান ছাড়া আর কোনো ভারতীয় ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। ছোট পুঁজি নিয়েও ঠিকই টাইগারদের চাপে ফেলেছিল ভারত। ইনিংসের প্রথম বলেই অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করার পর বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়।
তৃতীয় উইকেটে আরেক লিটন দাশ এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালোমতোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে দলীয় ৭৪ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৪১ রান করা টাইগার অধিনায়ক। সাকিবও খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি দিরে যান দলীয় ৯৫ রানে।