আজ থেকে ৬৬বছর আগে চট্টগ্রামের পলোগেরাউনডে রেলওয়ে আবাসিক এলাকায় দূরবীণের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এর জন্ম। কোলকাতায় আসাম বেংগল রেলওয়ে র কর্মকর্তা হিসেবে চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিল্ডিং যে (সিআরবিতে) তাঁর প্রযাত পিতা আলহাজ আবদুর রাজ্জাক ১৯৪৪ ইংরেজিতে বদলি হযে এসেছিলেন ।
বরিশালের গৌরনদীর আগৈলঝাড়ার গইলা তাঁর পৈতৃক নিবাস হলেও চট্টগ্রামে তাঁর বেড়ে ওঠা।কলেজিয়েট স্কুল ও জুনিয়র ক্যাডেট কোর এর কোয়ার্টার মাসটার পদবি ছিল। ১৯৬৯ও১৯৭০ সালেই রাইফেল ও মেশিন গান, স্টেনগান চালানো জানতেন। যুদ্ধের মাঠে লড়াই করার দৃশ্য চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে দেখাত চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ক্যাডেটদের। ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মার্চ ও এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীও আগৈলঝাড়ার কিশোর যুবকসহ সর্ব শ্রেণীর মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গইলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুর রব সেরনিযাবাত, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান তালুকদারসহ স্বাধীনতাকামি সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তখন সেনাবাহিনীর হেমায়েত উদ্দিনসহ পুলিশ, রাইফেলস এর সদস্যরা বাঁশের লাঠি ও সংগৃহীত বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করেছিলেন। তিনি তখন ১৪ বছরের স্কুল ছাত্র। ক্যাডেট জেনে মুক্তিযুদ্ধে স্চ্ছোসেবক ও যুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেবার জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পেশাদার সৈনিকদের সংগে তিনি এ কাজ করেছিলেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালের আগৈলঝাড়া ও কোটালিপাড়া, উজিরপুর জুড়ে হেমায়তবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধে পরাজিত করেছিল। ফলে ১৯৭১সালে আর এসএসসি পরীক্ষা দেইনি। ১৯৭২সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই বছর চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৭১সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি( ১৯৭২সালে অনুষ্ঠিত), ১৯৭৪সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭৭সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ববিভাগ থেকে অনার্স, ১৯৭৮সালে মাস্টার্স ডিগ্রি সমাপ্ত করার পর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৮৪সালে সংবাদ, ১৯৮৬ সালে দৈনিক পূবকোণ, ১৯৯৭সালে দৈনিক মুক্তকন্ঠ, ২০০১সালে বিটিভিতে, ২০০২ থেকে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকা র ঢাকা অফিস, ২০১০থেকে ২০১১ বাসস হেড অফিসে সচিবালয় বিট এ সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ এর সম্পাদক ও প্রকাশক। একযোগে যা ঢাকা ও টরেন্টোয় বাংলা অনলাইন পত্রিকা হিসেবে চলছে।
তাঁর সহধর্মিণী মাসুদা খানম বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।মহাপরিচালক অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নিয়েছেন। একমাত্র ছেলে প্রাঞ্জল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে । মিডিয়া জগতে পত্রিকা, নিউজ এজেন্সিতে রিপোর্টার ও টিভি প্রযোজক হিসেবে কাজ শেষ করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ এর মাধ্যমে দেশ বিদেশের সংবাদ ও জীবন ধর্মী প্রতিবেদনের চেষ্টা করছেন। আদর্শ সাংবাদিকতা করে ভবিষ্যত জীবন কাজ করে যেতে চান তিনি। এজন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন।
আপনজন যারা ইতিমধ্যেই দূরবীণ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর জন্য লিখেছেন, বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আজকের এই বিশেষ দিনে। বিশাল কলেবরে দূরবীণ চালানোর প্রত্যাশা করেন তিনি। আগামীতে ইউটিউবে দূরবীণ সংবাদ দেবে। মুদ্রণের ও ইচ্ছা আছে।
তাঁর জন্মদিনে সকলকে জানিয়েছেন লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । যারা ইতিমধ্যে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গত ১৭মার্চ ২০২০ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ এর জন্মদিন। দেশ ও বিদেশে বসবাসকারী সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।