আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না। কোনো গণতন্ত্র ছিল না এবং গণতান্ত্রিক শাসক ছিল না। দেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চর্চা করে এবং আওয়ামী লীগের সময়ই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টোকিওতে দি ওয়েস্টিন হোটেলে জাপান প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসমর্থকদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন, প্রধানন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে দেশে গণতন্ত্র নাই, মিলিটারি ডিক্টেটর থাকলে গণতন্ত্র থাকে? ভোট চুরি করলে গণতন্ত্র থাকে? হ্যাঁ-না ভোট গণতন্ত্র? কারচুপি করা সেটা গণতন্ত্র? আর আওয়ামী লীগ! আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, আইডি কার্ড, ভোটের একটা সুস্থ ব্যবস্থা করেছি। আওয়ামী লীগের সরকার আমলে যতগুলো উপ-নির্বাচন হয়েছে, যতগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে।
স্থানীয় নির্বাচনে আপনারা জানেন নিজেদের মধ্যে ওই ওয়ার্ড বা কমিশনার তাদের মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে, কিন্তু প্রত্যেকটা নির্বাচন আমরা সুষ্ঠু ভাবে করতে পেরেছি। এর আগের নির্বাচনগুলো কী হতো… প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে পুরাতন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হামিদ সাহেব দুই টার্ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বাংলাদেশে এটা একটা ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাষ্ট্রপতি এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি, সুষ্ঠুভাবে বিদায় নিতে পারেননি। জাতির পিতাকে তো হত্যা করেই ফেললো। এরপর যারা এলো তাদের একে একে অস্বাভাবিকভাবেই বিদায় নিতে হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সময় সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে বলেই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা রাজকীয় সম্মান দিয়ে বিদায় দিতে পেরেছি। নতুন রাষ্ট্রপতিকেও আমরা নির্বাচন করিয়েছি। তারা একই জায়গায় বসে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। অথচ, এর আগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হস্তান্তর, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বা নতুন রাষ্ট্রপতি এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা কোনোদিন পাননি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এই ইতিহাসটা আমরা তৈরি করতে পারলাম। এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা, এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এটাকে গণতন্ত্র বলে। পোটলা দিয়ে বের করে দেওয়া এটা কিন্তু গণতন্ত্র নয়।
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে বার বার, কীভাবে? গণতন্ত্র তো ছিলই না। ভোট, ওই হ্যাঁ-না বাক্সে ভোট, না বাক্স খুঁজে পাওয়া না, সব হ্যাঁ বাক্স- সেটা জিয়াউর রহমানের আবিষ্কার। ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই কাজটা তো শুরু করে দিল বিএনপি। ক্ষমতা দখল করেই রাজনৈতিক নেতা বনে গেল। জিয়ার আমলের নির্বাচন! নির্বাচন তো না মানুষকে ধোকা দিয়ে, মানুষের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার কালচার শুরু করে জিয়াউর রহমান। তাকে অনুসরণ করে মিলিটারি শাসক এরশাদ এবং খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের সময় সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে বলেই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা রাজকীয় সম্মান দিয়ে বিদায় দিতে পেরেছি। নতুন রাষ্ট্রপতিকেও আমরা নির্বাচন করিয়েছি। তারা একই জায়গায় বসে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। অথচ, এর আগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হস্তান্তর, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বা নতুন রাষ্ট্রপতি এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা কোনোদিন পাননি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এই ইতিহাসটা আমরা তৈরি করতে পারলাম। এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা, এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এটাকে গণতন্ত্র বলে। পোটলা দিয়ে বের করে দেওয়া এটা কিন্তু গণতন্ত্র নয়।
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে বার বার, কীভাবে? গণতন্ত্র তো ছিলই না। ভোট, ওই হ্যাঁ-না বাক্সে ভোট, না বাক্স খুঁজে পাওয়া না, সব হ্যাঁ বাক্স- সেটা জিয়াউর রহমানের আবিষ্কার। ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই কাজটা তো শুরু করে দিল বিএনপি। ক্ষমতা দখল করেই রাজনৈতিক নেতা বনে গেল। জিয়ার আমলের নির্বাচন! নির্বাচন তো না মানুষকে ধোকা দিয়ে, মানুষের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার কালচার শুরু করে জিয়াউর রহমান। তাকে অনুসরণ করে মিলিটারি শাসক এরশাদ এবং খালেদা জিয়া।
দেশে গণতন্ত্র নেই এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কেন? বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি বলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল, যেখানে বাকি সিটগুলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে। এ সময় বিএনপির নির্বাচনে না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরবর্তীতে তারা আগুণ সন্ত্রাস করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার তো দেশের উন্নয়ন করেছে। ওরা কোন মুখে নির্বাচন করবে, কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইবে। যে কারণে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সবাইকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং দেশকে এসব থেকে মুক্ত রাখতে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দ্বিপক্ষীয় সফরে টোকিও আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান সফর শেষে তিনি শুক্রবার টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন যাবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (৪ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন। তিন দেশ সফর শেষে আগামী ৯ মে (মঙ্গলবার) সকালে দেশে ফিরবেন।