মোশাররফ হোসেন: টরেন্টোয় পড়তে এসেছিল চার বাংলাদেশী। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ওদের। বাবা ও মায়ের কাছ থেকে ১৮হাজার মাইল দূরে কানাডার টরেন্টো । মায়ের আদর, বাবার অনুশাসন মুক্ত ছেলে মেয়ে। পড়াশোনা ও আনন্দে মেতে ছিল ওরা। রাতে মহাসড়কে বেড়াতে গিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বেষ্টনী প্রাচীর ভেঙ্গে গাড়ি উল্টে উড়াল সড়কের নীচের সংযোগে আছড়ে পড়ে। বিধ্বস্ত গাড়িতে আগুন লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের। একজন পরে মারা যান ।
বেঁচে আছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ -এর ছেলে কুমার নিবিড়। দু দফা অস্ত্রপোচারের পর নিবিড় এখন সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আজ তার মস্তিষ্ক সহ বিভিন্ন অংশে সার্জারির কথা।
একমাত্র ছেলে কুমার নিবিড়ের আশঙ্ক্ষাজনক পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা থেকে টরেন্টোয এসেছেন শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে ডাক্তারের কাছ থেকে ছেলের অবস্থা অবহিত হন। সব জানার পর বিমূঢ় হয়ে যান। কারও সাথে কথা বলেননি। শুধু দেশবাসীর কাছে তার সন্তানের জন্য দোয়া চেয়েছেন। মৃত ছাত্রদের জন্য গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তার চাচাতো ভাই অভিজিৎ দে একান্তভাবে উপরোক্ত তথ্য জানিয়েছেন ।তাও এলিভেটরে। সে মনট্রিয়াল থেকে টরেন্টোয আসে।
মনট্রিয়াল থেকে শিল্পী তপন চৌধূরী ও বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন ।
নিহতদের মরদেহ ঢাকা যাচ্ছে…
অপরদিকে তিন ছাত্র ছাত্রীর মরদেহ তাদের নিকট আত্মীয় স্বজন এর অনুরোধে টরেন্টোয় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল লুৎফুর রহমান বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে নিহতদের মরদেহ বিষয়ে পুলিশ ও মর্গের মৃতসনদ নিয়ে চিহ্নিত করে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য কাজ করছেন বলে কনসাল জেনারেল ও কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডঃ খলিলুর রহমান জানান।
মৃত শাহরিয়ার খানের পরিচয় মিলেছে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে । তার বাবা শরীফুর রহমান খান। বাড়ি ঢাকার আশুলিয়া। বাড়ি ৪১০, ব্লক-বি। আশুলিয়া
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা তাঁর পরিবার বসবাস করে।
আরিয়ান দীপ্ত ও অ্যানজেলা বাড়ৈর পরিচিতি টরেন্টোয় এখনো পাওয়া যায় নি। আজ আদের পরিচয় পাওয়া যাবে আশা করি।
ইতোমধ্যে এঞ্জেলা বাডৈ এর পরিচয় জানা গেছে। এঞ্জেলা বাড়ৈ, পিতা জেমস সুনাম বাড়ৈ, মাতা এডলাইন বাড়ৈ,গৌরনদী , বরিশাল। ১৫০, মণিপুরি পাড়,ফ্লাট :সি ১, গেট ৮ , ঢাকা ।