1. doorbin24bd@gmail.com : admin2020 :
  2. reduanulhoque11@gmail.com : Reduanul Hoque : Reduanul Hoque
September 11, 2024, 3:54 pm
সংবাদ শিরোনাম :

নির্বাচনে দলগত নয় একক জনপ্রিয়তার তাস !

  • প্রকাশিত : বুধবার, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
  • 188 বার পঠিত

মোশাররফ হোসেন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ০৭ জানুয়ারি ২০২৪। এ মুহূর্তে নির্বাচনী উৎসবে মেতেছে জনগণ। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

দেশে বিদেশে এ নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকাশ। সুষ্ঠু ও অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব পরাশক্তির সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখে বাংলাদেশের জনগণ হতবাক। এটি একটি সার্বভৌমত্ব দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যা করছেন তা ভিয়েনা আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাক্তি, রাজনীতিবিদ, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংগে অফিস ও বাড়িতে গিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পদ্ধতিগত বিষয়ক প্রস্তাব ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন। এসবই সীমা লঙ্ঘন। এটা আইনত দন্ডনীয়। এমনকি একটি দলের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দুতিয়ালি করে চলেছেন।

বাংলাদেশ সরকার তাকে বহিষ্কার করলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহন করত। এ কারণেই বাংলাদেশ গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে পিটার হাসকে। বিষয়টা ১৯৭১ ও ১৯৭৫সালের কথা মনে করিয়ে দেয়।
বিএনপি ও জামাতের গত ২৮অক্টোবরে ঢাকার মহাসমাবেশের সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও সংলাপ বিষয়ক চাপ সৃষ্টির জন্য ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান ছিল সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ। এর পাল্টা রুশ সাবমেরিনের আগমন ও ভারতের সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্রের রণতরি ভারত মহাসাগর ছেড়ে যায়। তবে তার আগেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শংকর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রি রাজনাথ সিংয়ের সংগে দিল্লির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিলিংকেন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অসটিনের মধ্যকার আলোচনায় আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক বিষয়ে ভারতের অবস্থান ছিল দৃঢ়। তবে যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তীতে সংলাপের যে চিঠি চালাচালি করে তা হাওয়ায় উড়ে যায়, নির্বাচন কমিশন কতৃক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর।
ছুটির নামে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশ ছেড়ে কলম্বো চলে যান। গতকাল তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বো হয়ে ঢাকা ফেরেন।
তার ভূমিকা সম্পর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করে রুশ রাষ্ট্রদূত কড়া সমালোচনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। সেই সময়ের মতই বাংলাদেশের পাশে রাশিয়া ভারতের অবস্থান এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরত করা গেছে। তবে তাদের সাময়িক নিরবতা ভিন্ন কিছুর ইংগিত নয়তো।
এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের ওপর বিদেশের চাপ অগ্রহণযোগগো। তারপরও নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ারকার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ইসলামী ঐক্যজোট ,বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক পার্টি, কল্যাণ, পার্টি তৃণমূল বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি বিএনপি জামাতসহ সমমনা দল সমুহ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে অবরোধ ও হরতাল পালন করে চলেছে। এসময় কর্মীরা বাস ,গাড়ি ,ট্রেনসহ সরকারী বেসরকারী যানবাহন , সমপদ পোড়ানো মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশসহ বেশ কয়েক জন মারা গেছেন।
তবে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ ও সুষ্ঠু, উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগ জনপ্রিয় প্রার্থীদের প্রতিদ্ধন্ধিতা করার সুযোগ রেখেছে। এতে দলীয় শৃংখলা ভংগ হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি ১৪দলীয় জোটসহ অংশগ্রহণকারি দলের সাথে নির্বাচনী সমঝোতার দরজা খুলে রেখেছে। প্রায় ৯০ আসনের সমঝোতার সম্ভাবনার রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এতে করে এককভাবে নির্বাচনে জনপ্রিয় নেতৃত্ব বেরিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হলেও গোলযোগ হবেনা, এটা নিশ্চিত করে বলা যাবেনা।
ঢাকাতে আওয়ামীলীগের নতুন মুখ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, বাহাউদ্দিন নাসিম, হাজী সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম। জাহাঙ্গীর কবির নানক আবার মোহাম্মদপুরে নির্বাচন করছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মকে উৎসাহিত করার জন্য চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ কে মনোনয়ন দেয়া হলে তুখোড় ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ খোরশেদ আলম সুজন মনোনয়ন না পাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয় মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এরকম সারা দেশে ত্যাগী নেতৃবৃন্দ বাদ গেলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংকট হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

আদর্শের রাজনীতি বনাম কর্পোরেট রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের পর এশিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে কর্পোরেট রাজনীতির প্রভাব বেড়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ নিয়ে দল গঠন হলেও হালে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছা ও আন্তর্জাতিক বলয় ঠিক রাখতে গিয়ে দলের আদর্শের রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক বিধান এখন আগের মত মানা হয়না। বরং মধ্যস্বত্ত সুবিধাভূগী শ্রেণী তৈরি হয়েছে। যাদের বলা হয় হাইব্রিড। এরা চেনে টাকা। মানুষ ও দেশের কল্যাণ নয়। এরা বোঝে নিজের ও পরিবারের বিষয়। তাইতো স্থানীয় জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের আদর্শের রাজনীতিবিদরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
এ অবস্থা চলতে থাকলে একজন মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ছাত্র যুবক, কৃষক শ্রমিক জনতা কেন রাজনীতি করবেন। পেশাজীবি কেন রাজনীতি করবেন। যখন সে দেখবে ক্ষমতা ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে আদর্শ নয়, টাকাই মুখ্য। তখন তারা তাদের পেশার কাজে মনোনিবেশ করবে। হালে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্তাসহ শ্রেণী ও পেশার সবাই সরকারী দায়িত্ব পালন করতে চায়। এটা নাকি অংশিদারিত্বের। তাহলে রাজনীতির মত ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক পেশায় মানুষ আসবে কেন। ফুটবল, ক্রিকেট একজন মানুষ কেন খেলবেন। যদি না জীবনে প্রতিষ্ঠিত ঽওয়া না যায়। এককথায় লক্ষ্য অর্জনের জন্য দরকার সরল পথ ।এর বিকল্প নেই। টাকা যেখানে গৌণ।

তাইতো একজন শেখ হাসিনার নির্বাচনী কৌশল যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নির্বাচন করুন। জনগন চাইলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবেন। এতে নির্বাচন হবে উৎসবমুখর ও অবাধ অংশগ্রহণমূলক।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© All rights reserved © 2024 doorbin24.Com
Theme Customized By Shakil IT Park