পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এই প্রথম জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়েছে। বর্তমানে শিশু দুটি সদর হাসপাতালের স্পেশাল নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে (স্কানু) এবং গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুর মা ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরের দিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বশির শিকদার ও রেখা দম্পতির প্রথম সন্তান বলে এটি জানা যায়।
শিশু দুটি বর্তমানে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশু দুইটির হাত, পা ও হৃদপিন্ড আলাদা। তবে তাদের প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা নেই। স্বাভাবিকভাবেই তারা অক্সিজেন গ্রহণ করছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পায়খানার রাস্তা বের করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোন প্রকার খাবার দেওয়া যাবেনা।
পটুয়াখালীতে শিশু সার্জন না থাকায় তাদের জন্য এখানে কোন বড় ধরনের চিকিৎসা দিতে না পারায় তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা দরকার।পটুয়াখালীতে এরকম সঘটনা এটিই প্রথম।
জোড়া শিশুদের স্পেশাল নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে (স্কানু) মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাণী জানান, সার্বক্ষণিক শিশুদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নবজাতোক সন্তানদের বাবা বশির শিকদার বলেন, এটিই আমাদের প্রথম সন্তান, বিয়ের এক বছর পরে এ বাচ্চার জন্ম হলো।অপারেশনের পর জানতে পারলাম, জোড়া লাগানো শিশু। কি আর করবো, ডাক্তার স্যারেরা যা বলবেন, তাই করবো, যতটুকু সম্ভব।
কিছুদিন আগে রেখা অসুস্থ হলে আমরা ডাক্তার দেখাই, ডাক্তার আলট্রাসনোগ্রাফি করে আমাদের কিছু বলেননি। বরিশাল পাঠিয়েছিলো। আমরা বাড়ি ফিরে আসি, কিছুদিন পর রেখা আবার অসুস্থ হয়ে পরে। তারপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি, আজ অপারেশনের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হলো।