স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আর্থিক সক্ষমতা এবং একজন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই তার নেতৃত্বে বহু অর্জনের সঙ্গে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ পুরো দৃশ্যমান হয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় একথা জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম । বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনো এটিকে দেখাশোনা করে থাকি।
প্রণোদনার প্যাকেজ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেট্রোপলটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, গত জুন জুলাই মাসে আমরা দেখেছিলাম দেশের অভ্যন্তরিণ অর্থনীতিতে গতি ফিরে এসেছিল। কিন্তু তারপর করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসার পর নভেম্বর থেকে আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ কিছু খাত এখনো সচল হয়ে উঠেনি। সরকারকে নীতি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজিকরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির বলেন, করোনা মহামারিতে আমরা দেশের সবাইকে সহায়তার আওতায় আনতে পারিনি। কেন এই আর্থিক সহায়তা ১২০টি উপজেলাতে সীমিত সেটা নিয়ে আরো একটু ভাবা দরকার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যারা সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসার কথা না তারা সে সুবিধা পাচ্ছে, এর সংখ্যা হচ্ছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এজন্য আমাদের টার্গেটিং আরো ঠিক করতে হবে।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, দেশের ৪৯২টি উপজেলা সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে আমরা ৩০ শতাংশ সক্ষমতা অনুযায়ী কভারেজ দিতে পেরেছি।