বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। বিশেষ করে রেস্তোরাঁসহ পর্যটন এলাকাতে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রাখার বিধান বাতিল করা উচিত। এজন্য আইন সংশোধনের মাধ্যমে পাবলিক প্লেসকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা জরুরি। আর টুরিস্ট স্পটগুলো যাতে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত থাকে সেজন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
রবিবার (০৪ এপ্রিল) ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ র ওপর ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল এক সেমিনারে এ কথা বলেন।
দেশকে তামাকমুক্ত করার ক্ষেত্রে ঢাকা আহ্ছানিয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, অধিকাংশ ধূমপায়ীই অল্প বয়স থেকে সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়। এজন্য স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। যাতে তাদের সন্তান অন্যদের সঙ্গে মিশে বিপথে না যায়। যথাযথ সচেতনতাই পারে সবার মধ্যে ধূমপানের ক্ষতির বিষয়টি তুলে আনতে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও তামাক নিয়ন্ত্রণের ফোকাল পার্সন সাবেরা আক্তার এবং এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি ও এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমীন আক্তার রিনি ও মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় সেমিনারে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেলের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।