ব্যাপক সংঘাত ও সহিংসতার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ করতে নজিরবিহীন দেরি হয়, যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন মহল। অভিযোগ ওঠে ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই রাজনৈতিক নৈরাজ্য ও বিভাজন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। পাকিস্তানের জন্য স্থিতিশীল নেতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে জেনারেল সৈয়দ অসিম মুনীর বলেন, ২৫ কোটি মনুষের প্রগতিশীল দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও বিভাজন অসঙ্গতিপূর্ণ। এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে না পারলেও দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন তার সমর্থিত প্রার্থীরা। ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছেন তারা। অন্যদিকে, নওয়াজের শরিফের পাকিস্তান মুসলীম লীগ (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭১ আসনে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।