মিরসরাই উপজেলায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে আবারও ৫ শিশুসহ ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে দালালের মাধ্যমে সাগর পথে ভাসান চর থেকে তারা পালিয়ে এসে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। রোহিঙ্গাদের বহন করা ট্রলার সাগরের কূলে ভিড়তে দেখে সাগর থেকে জেলেরা স্থানীয়দের ফোনে খবর দেয়। স্থানীয়রা ধাওয়া করলে দালালরা সুপার ডাইক সড়কে রোহিঙ্গাদের নামিয়ে দিয়ে দ্রুত ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা হলেন, মোহাম্মদ রফিক (২৫), জোহার (২৫), সাইমা (৬), হাসিনা (২৬), রমজান আলী (১২), কাশ্মীন আকতার (৯), দেলোয়ার হোসেন (০৭), জেসমিন (৩), মো: রফিক (১৯), ছেনোয়ারা বেগম (১৮), রবি আলম (১৯), আজিদা (১৮), শওকত আরা (১৯), মোঃ জোবায়ের (২)।
আটককৃত রোহিঙ্গারা জানায়, জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে তারা ট্রলার মালিকের সাথে কন্ট্রাক করেছেন। সাগর পাড়ি দিয়ে তারা চট্টগ্রাম শহরে যাবেন। সেখান থেকে তারা কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে যাবেন।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঠিকাদার নাজিম উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গাদের ট্রলার দেখে সাগর থেকে জেলেরা আমাকে ফোনে জানায়। ভাসানচর থেকে দালালের মাধ্যমে ট্রলার যোগে তারা সুপার ডাইকে এসে উঠে। আমি স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাদের আটক করে বেজা ম্যানেজারকে জানাই। পরে তাদের নিয়ে জোরারগঞ্জ থানায় নিয়ে যাই।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ব্যবস্থাপক আমজাদ জানান, শিল্প নগরের ঠিকাদার নাজিম উদ্দিন থেকে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি জানার পর জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করে শিল্পনগর পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় জোরারগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে তারা দালালের মাধ্যমে ভাসানচর হতে পালিয়ে আসে। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে ভাসান চর থেকে পালিয়ে আসা আরও ১০ রোহিঙ্গাকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকা থেকে আটক করেছিলো জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।