খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় প্রতিবন্ধী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার ৭ আসামি।
রবিবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ৫ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নুরুল আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হালিম, শাহিন মিয়া, অন্তর ও আব্দুর রশিদ। তাদের সবার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায়।
চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের পাশাপাশি লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের সঙ্গে আসামিদের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কারাগারে বসে তাদের বন্ধুত্ব হয়। জামিনে বের হয়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতো।
এদিকে, পাহাড়ে ও সমতলে সংগঠিত সব ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম এবং বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল।
বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢুকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর পুলিশ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।