নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ে করার শর্তে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের ওপর আস্থা রেখে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী জেলা কারাগারের সামনে জাঁকজমক আয়োজনে মামলার বাদী ও আসামির বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বর-কনেসহ দুই পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সকালে দুই পক্ষের লোকজন মিষ্টি নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে আসেন। পরে আসামি জিয়া ও ভুক্তভোগীর আইনজীবীরা সেখানে হাজির হন। বিয়ে পড়াতে আসেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানসহ কাজী আবদুর রহিম। ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি।
গত ১ নভেম্বর বিয়ে করার শর্তে প্রেমিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় কারাবন্দি জিয়াউল হক জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন হাইকোর্ট। সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ওই তরুণীর সঙ্গে জিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ধার্য্য করা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
এর আগে গত ২৭ মে জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন তার প্রেমিক জহিরুল ইসলাম জিয়া। তার বাবা একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। ঘটনার দিনই ভুক্তভোগী জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ২৯ মে জিয়াকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
পরে জামিনে মুক্তি পেলে ভুক্তভোগীকে জিয়া বিয়ে করবেন, তার পরিবার এ আবেদন পূর্বক আদালতের কাছে জামিন চেয়ে আপিল করে। পরে হাইকোর্ট জিয়ার জামিন না দিয়ে কারা ফটকেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার বিয়ের আয়োজনের জন্য ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। তারই ধারাবাহিতায় জিয়া ও তার প্রেমিকের বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।