বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার আজ বুধবার রেলভবনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগীতা করতে পারে সে-সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনাকালে রেলমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি চল্লিশটি (৪০) ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, পাঁচটি লটে চল্লিশটি লোকোমোটিভ আসবে ইতোমধ্যে প্রথম লটের আটটি বাংলাদেশে চলে এসেছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম যে একশতটি লোকোমোটিভ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে সেগুলোও আমেরিকার একই কোম্পানি প্রগ্রেস রেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। এসব লোকোমোটিভ চালানোর জন্য দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়াসহ এসবের যন্ত্রাংশ যাতে সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি এদেশের রেলওয়েতে কীভাবে যুক্ত করা যায় তা দেখার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
রেলমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের রেলওয়ের অবকাঠামো সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ডাবল লাইন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। রেলওয়ের ডাবল লাইন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতা কামনা করেন। মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রেলওয়েতে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে পারে। তিনি এদেশে যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কারখানা নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ সভায় আরও দশটি লোকোমোটিভ একই দামে আমেরিকার সরবরাকারী প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেস রেল থেকে কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এসব বিষয়ে ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ইকোনোমিক অফিসার জেফরি ডির্কস উপস্থিত ছিলেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচলক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।