অবশেষে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে ক্লোজ করে পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) তাকে ক্লোজ করা হয়। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি মোস্তাফিজুর রহমান গত বছর (২০২০ সালে) ফেব্রুয়ারি মাসে বাউফল থানায় যোগদান করেন। তাকে ক্লোজ করার খবরে নানা মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়ে উঠেন। তিনি যোগদানের কয়েক দিন পর বাউফল থানার সামনে যুবলীগ নেতা তাপস খুন হন। এর কয়েকদিন পর কেশবপুর ইউনিয়নে সরকারি দলের দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি ইমন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদার খুন হন। এই খুনের ঘটনার আগের দিন এক পক্ষ অপরপক্ষের উপর হামলা করে। ঘটনাটি লিখিত ভাবে ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। যার ফলে পরেরদিন এক জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পৌর শহরে সরকারি দলের এক পক্ষকে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বাউফলে সরকারি দলের দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো।
তিনি এ থানায় যোগদান করার পরে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, খুনখারাবিসহ আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে থাকে।
গত কয়েক দিন আগে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলাসহ একাধিক মামলার আসামিদের সাথে সেলফি তুলে দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম হন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।