শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্বাচল নতুন শহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মেলা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশ মূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলার প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। তবে মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। তিনি বলেন, মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় যাতায়াতের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে। তিনি বলেন, ‘মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং দামের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্য পণ্যের দাম নির্দিষ্ট থাকবে।’ ভোক্তা অধিকার অধিদফতার মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে বলেও জানিয়েছেন টিপু মুনশি। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গত বছরও এ মেলায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যে পণ্য রফতানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারের একটু দূরে হলেও মেলায় অংশ নেয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান, এতে করে পণ্যের মানও উন্নত হয়।’ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।