নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাবার কাছে ছেলের আবদারে পাঙ্গাশ মাছ কেনায়, ১৩ বছরের নাতিকে পিটিয়ে মারল দাদা।
নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে ঘটেছে এ লোমহর্ষক ঘটনা।
গতকাল ৫ জানুয়ারী বুধবার, ইরতা গ্রামের ১৩ বছরের ছেলে রিফাতের পাঙ্গাশ মাছ খাওয়ার আবদার মেটাতে বাবা মো. রেজাউল মিয়া বড় ১টি পাঙ্গাশ মাছ কিনে আনলে, পরিবারের কলহ বাঁধে।
কলহের একপর্যায়ে ৫ জানুয়ারী বুধবার দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে রেজাউলের পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাক (৭০), তার স্ত্রী রিজিয়া (৫৫), ভাই রবিউলের স্ত্রী হোসনে আরা (৩৫), রবিউলের ছেলে আরাফাত (১২), সিফাত (১৪) লাঠিসোঁটা দিয়ে রিফাত ও রেজাউল কে পিটিয়ে আহত করে।
এতে রেজাউলের মাথা ফেটে যায় এবং রিফাত মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক, তাদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার পর রিফাতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাতেমা তুজ জোহরা ও তার সহকর্মীরা, সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকেন। ধীরে ধীরে রিফাতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রিফাত।
এ ঘটনায় রিফাতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর আনুমানিক ৩.১৫ মিনিটের এর সময় রিফাত (১৩) ও রেজাউল (৪০) আমাদের জরুরি বিভাগে এলে, তাদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রিফাত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে আনুমানিক রাত ১ টার সময় মৃত্যু বরন করে।
পরে, আমরা রিফাতের পরিবার ও নাগরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এছাড়াও লাশ ময়নাতদন্তের প্রেরনের প্রস্তুতি সহ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।