মোশাররফ হোসেন: বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক কূটনীতি বৃদ্ধি করার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দিয়েছে। লক্ষ্য মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে । বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো ।
পাশাপাশি নির্বাচনের আগে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে প্রবাসী বাঙালিদের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে সবাইকে সচেতন করা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন এর সংগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিলিংকেনের বৈঠকেও দুদেশের মধ্যে সমপরকো জোরদার এবং রোহিংগাদের সেবা করার জন্য সহযোগিতা, মডেল নির্বাচন, পর্যবেক্ষক পাঠানো বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনট জো বাইডেন সাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাণী তে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে “জয় বাংলা ” বলেছেন। এটা বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।
ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডঃ খলিলুর রহমান আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ দেশ কিউবা সফরে গিয়েছেন। তিনদিনের সফরে তিনি তার পরিচিতি অবহিত করবেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ কানেল।
এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দেশটির সরকারী পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ।
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন, এগিয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সর্বোপরি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সরকারি উদ্যোগ তুলে ধরবেন। উল্লেখ্যোগ্য ডঃ খলিলুর রহমান কানাডা ,কিউবা, নিকারাগুয়া , বাহামার রাষ্ট্রদূত।
কিউবা কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত। একসময়ের জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ দেশ। বিশ্ববরেণ্য নেতা ফিদেল কাসট্রো দেশটি গড়ে তোলেন । উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেন। তার সন্তান রাউল কাসটোরোর। পর ২০১৯সাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিগুয়েল রিয়াজ কানেল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির দেশ হলেও চিনি, নিকেল, পর্যটন শিল্প কিউবার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে ।